বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় দীর্ঘ তিন বছর জেলবন্দী রয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ভোলানাথ বিশ্বাস এবং বিশু বিশ্বাস। এতদিনেও মামলার কোনো সুরাহা না হওয়ায় জামিনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে সেই মামলা।
২ জনকে জামিন দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
কিছুদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এবং রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলিকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও প্রশ্ন ওঠে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও। তাই এই সংক্রান্ত মামলায় নভেম্বর মাসেই চার অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ।
আর এদিন আরও একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতার জামিন মঞ্জুর করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কীসের শাস্তি ভোগ করছিলেন তাঁরা? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন নদীয়ার গাংনাপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতা উত্তম ঘোষের চোখ উপড়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ‘এক দিনে হালুয়া টাইট করে দিয়েছি …’, জানেন বাংলাদেশিদের সঙ্গে কি এমন করলেন শুভেন্দু?
এই ঘটনারই তদন্তে নাম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তে নেমে মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভোলানাথ বিশ্বাস এবং বিশু বিশ্বাস। মঙ্গলবার দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীর আইনজীবী আবীর নিয়োগী দাবি করেন, তিন বছর ধরে অভিযুক্তরা জেল খাটছেন। মোট ৭১ জনের মধ্যে মাত্র দু’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ওঠে তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়েও। যদিও তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে সিবিআই।বক্তব্য শোনার পর এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মামলাকারীর দাবি যুক্তিসঙ্গত। তারপরেই দুই মামলাকারীকে নির্দিষ্ট শর্ত বেঁধে জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানানো হয়েছে, জামিনে মুক্তি পেলেও তাঁরা কেউই রানাঘাট থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না।