বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কোলাঘাটের অফিসে চলেছিল পুলিশি হানা। সেই সংক্রান্ত মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না।
এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ, আপাতত কোর্টের নির্দেশ ছাড়া বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। প্রসঙ্গত ভোট চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।
শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল কোনও তল্লাশি পরোয়ানা না থাকা সত্ত্বেও তার ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। সেই জন্য আগাম সুরক্ষার আর্জিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেতা।
সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, আপাতত ১০ জুন পর্যন্ত কোলাঘাটে বিরোধী দলনেতার অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি করতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বিশেষ বেঞ্চ বিরোধী দলনেতাকে ১৭ জুন পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়েছিল। এদিন সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ জুন পর্যন্ত করেছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের জেরে সিদ্ধান্ত বদল! ফের বাড়ানো হচ্ছে গরমের ছুটি? শিক্ষা দফতরের আপডেট
এর আগের শুনানিতে আদালতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ওই বাড়িটিতে যে শুভেন্দু অধিকারী থাকেন বা তার নামে ভাড়া দেওয়া সেই বিষয়ে অবগত ছিল না পুলিশ। পাশাপাশি যে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সেই মামলায় শুভেন্দু অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন বলেও আদালতে আদালতে স্পষ্ট কথায় জানায় রাজ্য।
এদিন রাজ্য জানায় পুলিশের কাছে খবর ছিল অস্ত্র এবং টাকা জড়ো করা হয়েছে একটি জায়গায়। যদিও তার সাথে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও যোগ নেই। ওই বাড়ির মালিক সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের দায়িত্ব ছিল এই ব্যাপারে অনুসন্ধান করা। আর সেই মতোই পুলিশ নিজের কাজ করেছে বলে আদালতে সওয়াল করে রাজ্য।