পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ! হাই কোর্টে মামলা উঠতেই বিরাট নির্দেশ জাস্টিস সিনহার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে এবার অপহরণের অভিযোগ। চন্দননগরের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন। এবার সেই ঘটনাতেই বিরাট নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

অতিসক্রিয়তা থেকে নিষ্ক্রিয়তা, পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই নানান ধরণের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। তবে কিডন্যাপিংয়ের (Kidnapping) অভিযোগ সচরাচর ওঠে না। তবে এবার এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে। চন্দননগরের (Chandannagar) একজন ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

   

ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটিতে চন্দননগর কমিশনারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। সেদিন অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেই সঙ্গেই এই ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জের! বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা

এদিন শুনানির সময় আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, গত ৯ জুন তাঁর মক্কেলের বাড়িতে সুইটি গাঙ্গুলি নামের একজন মহিলা আসেন। নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি ওই মহিলা দাবি করেন, তিনি ডানকুনি থানা থেকে আসছেন।

এরপর আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ওই মহিলা তাঁর  মক্কেলকে ডানকুনিতে আর একজন পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাঁকে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে কয়েকট কাগজে সই করানো হয়। সেই কাগজগুলি ব্যবসায়িক কাগজ ছিল বলে খবর।

Case against Calcutta High Court Justice Amrita Sinha on giving her Police related case

এখানেই শেষ নয়! এরপর এই ঘটনা সম্বন্ধে চন্দননগর থানায় অভিযোগ জানাতে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের অভিযোগ পুলিশ নেয়নি বলে দাবি করেন আবেদনকারীর আইনজীবী। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পুলিশের মদতেই সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এদিন শুনানিতে সবকিছু শোনার পর রাজ্যের রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি ঘটনার দিনের CCTV ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর