একাধিক শর্তে জামিন মঞ্জুর ‘কালীঘাটের কাকু’র! কী কী শর্ত দিল হাই কোর্ট?

Published on:

Published on:

Calcutta High Court Grants Bail to Sujaykrishna Bhadra
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় মোড়। দীর্ঘ দশ মাস গৃহবন্দিত্ব ও অন্তর্বর্তী জামিনের পর অবশেষে স্থায়ী ভাবে স্বস্তি পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুক্রবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানিয়ে দিলেন কিছু শর্ত সাপেক্ষে আপাতত মুক্ত সুজয়কৃষ্ণ।

শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুক্রবার তাঁর স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশে তিনি আপাতত মুক্ত থাকবেন, তবে আদালত তাঁর উপর একাধিক শর্তও চাপিয়েছে।

কী কী শর্ত দিয়েছে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)?

হাই কোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়েছে সুজয়কৃষ্ণ কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না। তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে আদালতে। সপ্তাহে এক দিন তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। নিজের মোবাইল নম্বর তদন্তকারী আধিকারিক এবং আদালত, দুই জায়গাতেই জমা রাখতে হবে। পাশাপাশি এই মামলার কোনও নথি যাতে তিনি বিকৃত বা পরিবর্তন না করেন, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছে হাই কোর্ট। আদালতের কোনও শর্ত ভঙ্গ হলে নিম্ন আদালত তাঁর জামিন বাতিল করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী জামিনের শর্তে গত দশ মাস ধরে বেহালার বাড়িতে কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। বাড়ির চারপাশে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। ‘বহিরাগত’ কাউকে দেখা করারও অনুমতি ছিল না। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে স্থায়ী জামিন পেতে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিলেন তিনি।

Calcutta High Court Grants Bail to Sujaykrishna Bhadra

আরও পড়ুনঃ ২০১১ সালের পর থেকে কত কোম্পানি বাংলাছাড়া হয়েছে জানেন? সংসদে মোদি সরকারের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, সংখ্যাটা অবাক করবে

তবে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণের ‘ভূমিকা’ সম্পর্কে আদালতে তথ্যও জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। তবুও শেষ পর্যন্ত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। তবে নির্দেশ মানা না হলে ফের জেলবন্দি হতে হতে পারে ‘কালীঘাটের কাকু’র।