গুরুতর জখম বিচারপতি, ছেলেকেও মারধর, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগে নড়েচড়ে বসল হাই কোর্ট

Published on:

Published on:

Calcutta High Court intervenes after retired judge assaulted at home

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধাননগরে কলকাতা হাই কোর্টের(Calcutta High Court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরএন রায়ের বাড়িতে পুলিশের হামলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। গুরুতর আহত হয়েছেন বিচারপতি, আহত তাঁর আইনজীবী ছেলে। ঘটনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

উর্দি ছাড়া পুলিশের কয়েকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ হাই কোর্টের (Calcutta High Court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

অভিযোগ উঠেছে, “কোনও কারণ ছাড়াই বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে উর্দি ছাড়া পুলিশের কয়েক জন ঢুকে অত্যাচার চালায়। গুরুতর জখম হন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ওই বিচারপতির ছেলে বর্তমানে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একাধিক আইনজীবী। আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে কেন মারধর করল পুলিশ? অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হোক।” বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন এবং সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, মামলাটি দ্রুত শুনানি হবে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয় এই মামলার শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও চেয়েছে। আইনশৃঙ্খলার এই প্রশ্নে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।

উল্লেখ্য, এক দিন আগেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রমেশ গর্গের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, মুখোশধারী ডাকাতেরা কয়েক লক্ষ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে পালায়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বিচারপতির বাড়িই যখন নিরাপদ নয়, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত?

Calcutta High Court intervenes after retired judge assaulted at home

আরও পড়ুনঃ ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের রেকর্ড জয়ের নেপথ্যে আসল কারণ কী ছিল? সভামঞ্চ থেকে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

কলকাতার বুকেই বিচারপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। আদালত (Calcutta High Court) স্পষ্ট করেছে, এই ঘটনার আসল কারণ উদ্ধার করতে তদন্ত জরুরি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন নজর বুধবারের শুনানির দিকে।