গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর আরও কড়াকড়ি! বেআইনি নির্মাণ মামলায় বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহরের অলিগলিতে বেআইনিভাবে গড়ে উঠছে নানান বিল্ডিং! রবিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় এমনই একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে। প্রায় হারান ১০ জন মানুষ, আহতের সংখ্যা একাধিক। এরপর থেকেই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে আরও কড়া হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার যেমন শহরের একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার আদেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় প্রাণ যায় একাধিক নিরীহ মানুষের। এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হাই কোর্ট। আজ যেমন নারকেলডাঙা এলাকার একটি অবৈধ নির্মাণ (Illegal Building) ভাঙার নির্দেশ দেন জাস্টিস সিনহা। আগামীকাল তথা শনিবার থেকে কাজ শুরু করতে বলেন তিনি।

এদিকে বাড়ি ভাঙার মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সেখানকার একজন বাসিন্দা। তিনি বলেন, বাড়ির একতলার নির্মাণ নিয়ম মেনে হয়েছে। সেই কারণে ভাঙার আদেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সেকথা শুনে বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha) পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোনোদিন যদি এই নির্মাণ আপনার ওপর ভেঙে পড়ে তখন কী হবে?’ উল্লেখ্য, নারকেলডাঙা (Narkeldanga) থানার অধীন ৩ডি/এইচ/৭ এম এন চ্যাটার্জি সরণিতে কোনও প্রকার অনুমোদন ছাড়াই একটি ৬ তলা বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর সেই বিল্ডিংয়ে বসবাসও শুরু হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ একি কাণ্ড! প্রচার ছেড়ে সেলুনে গিয়ে যুবকের চুল কাটছেন TMC-র সুজাতা, ভাইরাল ভিডিও

কলকাতা হাই কোর্ট অবধি এই মামলা গড়ালে জাস্টিস সিনহা ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। তবে আদালতের অর্ডার সত্ত্বেও সেই কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর শুক্রবার নারকেলডাঙা থানার ওসিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়। আজ তিনি আদালতে উপস্থিতও হয়েছিলেন।

justice amrita sinha on building permission

ওসির হয়ে রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নারকেলডাঙা এলাকার সংশ্লিষ্ট বেআইনি নির্মাণ বহুদিন আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে পুরসভার তরফ থেকে ভাঙার কাজও শুরু হয়ে যায়। ওই নির্মাণে কেউ থাকে না। অপরদিকে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে আগামীকাল থেকে ফের সেই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু হবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর