বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৪ ঘন্টাও পেরোলো না! এবার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অ্যাকশনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। বৃহস্পতিবারই হাওড়ার বালি পুরসভার অন্তর্গত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এবার সেই একই সুর ধরা দিল বিচারপতি সিনহার গলায়। শুক্রবার কলকাতায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দিলেন তিনি।
এবার অ্যাকশনে জাস্টিস সিনহাও
এদিন কলকাতা পুরসভা এলাকার একবালপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অবৈধ বাড়িকে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। শুধু তাই নয় কড়া নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘‘১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। তার জন্য যত পুলিশ প্রয়োজন, তত পুলিশ নিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় বাহিনী দিতে হবে বন্দর এলাকার ডিসিকে। অবৈধ নির্মাণ ভাঙতেই হবে। ’’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সবথেকে বড় অ্যাকশন! নজরে অভিষেক-রুজিরা-সুজয়কৃষ্ণ, এল ED-র চিঠি
কাল একই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, গতকাল এক অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও ঠিক এমনই কড়াকড়ি নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাওড়ার বালি পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় ২৯৫ বর্গমিটার জুড়ে একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানানো হাইকোর্টে । সেই মামলায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চ। পরে ওই মামলা বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও জাস্টিস সিনহার রায়ই বহাল থাকে। যদিও সেই নির্মাণ এখনও ভাঙা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলা উঠলে তিনি প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত প্রোমোটারকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। নির্দেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে আদালতে পৌঁছে যান নির্মাণ সংস্থার প্রধান পার্থ ঘোষ এবং লিলুয়া থানার ওসি সঞ্জয় শ্রীবাস্তব।
সূত্রের খবর ওই নির্মাণের কিছু অংশ যে বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছিল তা প্রোমোটার নিজেই স্বীকার করে নেন। এরপরই ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশদেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর বালি পুরসভার তরফে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যাওয়া হয়। তবে পুলিশের সাহায্য ছাড়া সেই নির্মাণ ভাঙা সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেয় পুরসভা।
আদালতে লিলুয়া থানার ওসি জানান, ঘটনার সময়ে থানায় অফিসার ইন-চার্জ হিসাবে দায়িত্বে অন্য কেউ ছিলেন। তিনি ছিলেন না। এরপরই লিলুয়া থানার তৎকালীন ওসি অংশুমান চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৯ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিনই পুরসভাকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। নির্মাণ ভাঙতে কোনও রকম বাধা পেলেই গ্রেফতারের নিদান দিয়েছেন বিচারপতি। আর এবার দুর্নীতি দমনে ঠিক একই রূপে বিচারপতি সিনহা।