বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Recruitment) নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha,) নির্দেশ, প্রাথমিক ২০০৯-এ উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮৬৭ শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা’র নির্দেশ, ২৪/৪/২০২৪ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলাকারী প্রত্যককে চাকরি দিতে হবে।
২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনায় যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে এদিন তা আদালতে স্বীকার করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। কাউন্সিলকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘কী চান? তদন্ত হোক? না বোর্ড চাকরি দেবে?’ উত্তরে কাউন্সিল জানায়, তারা চাকরি দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। এরপরই মামলাকারীদের নথি যাচাইয়ের তালিকা প্রস্তুত করে সেই অনুযায়ী চাকরির নির্দেশ বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করে ২০১০ সালে জেলাভিত্তিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তখন টেট পরীক্ষা ছিল না। তবে ২০১১ সালে পালাবদলের পর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। এরপর চালু হয় টেট। অভিযোগ ওঠে, ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্য। ২০১৪ সালে লিখত পরীক্ষা, ইন্টারভিউও। পরে এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। বহু টানাপোড়েনের পর এবার সুরাহার পথে।
১৫ বছর পর ২০২৪ এ এসে অবশেষে বাম আমলে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি মিলতে চলেছে। আগামী দুমাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে নিয়োগের বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একজোটে প্রায় ২৬০০০ চাকরি হারানোর আবহে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের এই নির্দেশে অত্যন্ত খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: আদালতের ‘সম্মানহানি’! মমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ বিকাশরঞ্জন
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে একই দিনে চাকরিহারা হয়েছেন ২৫৭৫৩ জন। ইতিমধ্যেই আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার