বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে সংবাদের শিরোনামে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment)। বহু বছর ধরে চলছে টানাপোড়েন। নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সেই সঙ্গেই আদালতে চলছে বহু মামলা। এবার লোকসভা ভোটের মুখে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিরাট রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
প্রায় দেড় দশক তথা ১৫ বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) পরীক্ষায় বসেছিলেন বহু চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে অনেকে প্যানেলে ঠাঁই পেয়েছিলেন। তবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসতেই সেই প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে তৃণমূল সরকার। এবার সেই সংক্রান্ত মামলাতেই বড় রায় দিল হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার মালদহ, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার সেই চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, ওই প্যানেলে নাম থাকা যোগ্য প্রার্থীদের বর্তমানে থাকা শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ ‘ছোট থেকে ওঁকে তৈরি করেছি…’! মমতার উত্তরসূরি কি অভিষেক? জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো
উল্লেখ্য, সেই সময় কেন্দ্রীয়ভাবে নয়, বরং জেলাভিত্তিক নিয়োগ করতো। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগ সংক্রান্ত সেই কাজ করতো। সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য প্রায় সপ্তাহখানেক সময় দিয়েছেন জাস্টিস মান্থা। আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছেন তিনি।
এদিকে সম্প্রতি হাওড়ার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বর্তমানে যে শূন্যপদ রয়েছে সেখানে নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীকালে যেমন অনুমোদন পাওয়া যাবে সেভাবে নিয়োগ হবে।
আদালতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী অম্লান মুখোপাধ্যায়, রবিলাল মৈত্র এবং রাজিতলাল মৈত্র। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁদের মক্কেলরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফ থেকে পাল্টা সওয়াল করা হয়। তবে আইনজীবী রাজিতলাল বলেন, আদালতে শেষ অবধি তাঁদের বক্তব্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।