বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এপ্রিল মাস থেকে এসএসসি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে প্রাথমিকের টেট দুর্নীতি মামলা (TET Scam) কোন মোড় নেয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিকের ৩২০০০ চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বর্তমানে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা চলছে। সেই মামলা নিয়েই বড় আপডেট সামনে আসছে।
বদলে গেল হাইকোর্টের রোস্টার (Calcutta High Court)
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলার রোস্টার বদল হয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন বেঞ্চে মামলার দায়িত্বে থাকা বিচারপতিদের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এবার থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব গিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।
যদিও এর ফলে ৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগেও এই মামলার দায়িত্বে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চই ছিল। সেখানেই এই মামলার শুনানি চলবে। প্রধান বিচারপতি আগেই এই মামলার দায়িত্ব বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে দিয়েছিলেন। এদিকে এখন থেকে গ্রুপ এইট-এর মামলা শুনবেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
একক বেঞ্চেও বেশ কিছু পরিবর্তন
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবার থেকে মাদ্রাসা, প্রাথমিক, পার্শ্বশিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা এখন থেকে শুনবেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শোনার দায়িত্বে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।
৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলা
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৪২ হাজার ৯৪৯ জন চাকরি পান। কিন্তু, নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে একাধিক ‘ক্রুটি’র কথা জানিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রেক্ষিতে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন। নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: বিরাট স্বস্তি! মমতাকে নিয়ে দীপক ঘোষের লেখা ‘বিতর্কিত’ বইয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত
এরই মধ্যে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই মামলাই বর্তমানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে চলছে। এই মামলার শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত শুনানিতে চাকরিহারাদের একাংশের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের ভাগ্য ঝুলছে।