‘নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে…’, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ! বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলছে লোকসভা নির্বাচন। ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। হাতে আর এক। দুদিন পরই সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। আর এরই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে রাজ্য পুলিশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দায়ের করা এক মামলায় জেলা পুলিশের (District Police) ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

ঘটনাটা কী? পশ্চিম বর্ধমানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি দেখিয়ে সেই সভার অনুমতি দেয়নি জেলা পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এদিন সেই সভার অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে মিছিল করতে চেয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তরফে। অভিযোগ জেলা পুলিশ সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি। এবার তাতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

   

আজ বুধবার পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে ফুলবাগান দুর্গা মন্দির পর্যন্ত মিছিল করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সভাও করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জেলা পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সেই মিছিল এবং সভার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

গতকাল এই মামলায় জেলা পুলিশের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘জেলায় পুলিশ নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে।’ রাজ্য জানিয়েছিল, যেহেতু ভোট চলছে তাই সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, এই মিছিলের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

Calcutta High Court cancels recruitment of a Group D staff in a school in Jhargram

আরও পড়ুন: শাহজাহান মামলায় অ্যাকশনে CBI, উঠে এল আরও ৬ জনের নাম, তোলপাড় রাজ্য

প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার সভা করতে চেয়ে আবেদন করেন তারা। পুলিশ তাতে অনুমতি না দিলেও এদিন তাদের মিছিল ও সভায় সবুজ সংকেত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর