বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে আর রেহাই নেই! মামলা হতেই এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি সম্পত্তি যদি ভাঙচুর করা হয়, তাহলে পুলিশকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক দল হলেও রেহাই পাওয়া যাবে না! এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
সরকারি অফিসে ভাঙচুর! বড় নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা সহ প্রত্যেক রাজ্যেই একাধিক সরকারি ভবন থাকে। এবার এগুলিতে যদি হামলা চালানো হয়, তাহলে তা সরকারি সম্পত্তি (Government Property) ভাঙচুর হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। এমনটা হলে এবার থেকে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মালদার পুকুরিয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের একটি মামলায় এদিন এই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
এই মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, সরকারি সম্পত্তি যদি ভাঙচুর করা হয়, সে যে রাজনৈতিক দলই করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ধারা কেন প্রয়োগ করা হবে না, সেটাও জানতে চায় আদালত।
আরও পড়ুনঃ মমতা অতীত! এবার রাজ্যের ‘এই’ মন্ত্রী হবেন অভিষেক? তোলপাড় বাংলা
সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষেত্রে কেন উপযুক্ত ধারা প্রয়োগ করা হবে না? মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য প্রশাসনকে রিপোর্ট দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। সেই সঙ্গেই অবিলম্বে অভিযোগ ফের খতিয়ে দেখে যথাযথ ধারা প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৭ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা তছরুপের অভিযোগে বেশ কিছু লোক প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, সেখান থেকেই পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করা হয়। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণ রাজ্য সরকারের কাছে একটা হাতিয়ার হয়ে গেল। কারণ অনেক সময় নবান্ন অভিযানের নাম করে দেদার ভাঙচুর চালানো হয়। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেককিছুই। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের ফলে এবার সেসব বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।