৩-৪ হাজার কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি! ‘দাগি’ তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক বাগ কমিটির আইনজীবী

Published on:

Published on:

Calcutta High Court lawyer claims SSC scam worth 3,000-4,000 crore

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের চাঞ্চল্যকর দাবি। ‘দাগি’ তালিকা প্রকাশ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত, তখন হাই কোর্ট (Calcutta High Court) নিযুক্ত বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, আসল দুর্নীতির অঙ্ক ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা। তাঁর মতে, প্রকাশিত ১৮০৬ জন দাগি শিক্ষকের তালিকা কোনওভাবেই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়, বরং প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এক এক সময় এক এক সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবী

আইনজীবীর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে। কখনও বলা হয়েছে ৭ হাজার, কখনও ৯ হাজার, আবার সুপ্রিম কোর্টে শোনা গিয়েছে ৬৫০০-এর বেশি নাম ইতিমধ্যেই দাগি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ SSC প্রকাশ করেছে মাত্র ১৮০৬ জনের নাম। বাগ কমিটির পক্ষ থেকে ১১০০ অবৈধ নিয়োগের তথ্য ইতিমধ্যেই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগ, র‌্যাঙ্ক জাম্পিং, স্ক্যান করা সই ব্যবহার, এমনকি নতুন শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি, সব রকম উপায়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি। তদন্তে উঠে এসেছে, বহু প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন, আবার কেউ শুধু নাম জমা দিয়েও পেয়ে গিয়েছেন নিয়োগপত্র। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ঘেঁটে দেখা যায়, সব ক’টিতেই ব্যবহৃত হয়েছে স্ক্যানড সিগনেচার, কোনওটিতে অরিজিনাল সই নেই।

বাগ রিপোর্টের বিস্ফোরক তথ্য

দেড় হাজার পাতার রিপোর্টে বাগ কমিটি জানিয়েছে, SSC-র নবনির্মিত ভবন থেকেই বেশ কিছু ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতেই গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিকে বেআইনি বলেছে বাগ কমিটি। তবে সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততা নিয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি।

Calcutta High Court lawyer claims SSC scam worth Rs 3,000-4,000 crore

আরও পড়ুনঃ দীপাবলির আগেই কি স্বস্তি সাধারণের? GST সংস্কারের পথে দেশ, আজ থেকে শুরু কাউন্সিলের বৈঠক

সব মিলিয়ে SSC-র দাগি তালিকা প্রকাশের পরও বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, বাগ কমিটির রিপোর্ট ও আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবিতে স্পষ্ট যে, নিয়োগ দুর্নীতির প্রকৃত অঙ্ক এবং দাগি শিক্ষকের সংখ্যা নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি।