সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার…! SSC দুর্নীতিতে এই রায় দিতে পারে কলকাতা হাই কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার (SSC Recruitment Scam) পুর্নমুল্যায়ন! ২০১৬ সালে যে নিয়োগ হয়েছিল তা পুনরায় মূল্যায়নের নির্দেশ দিতে পারে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফের মূল্যায়ন হতে পারে যদি আদালত নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে পুনরায় মূল্যায়নের ইঙ্গিত দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Justice Debangshu Basak) এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির (Justice Md. Shabbar Rashidi) ডিভিশন বেঞ্চ।

আজ শুনানির সময় আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) কাছে জানতে চায় পুনরায় মূল্যায়নের সকল উপকরণ কি তাদের কাছে আছে? জবাবে এসএসসি বলে, কোনও ওএমআর শিট তথা উত্তরপত্র তাদের কাছে নেই। যেগুলি রয়েছে সেগুলি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) দেওয়া। এরপর কমিশনের কাছে বিচারপতি জানতে চান, সিবিআইয়ের দেওয়া উত্তরপত্রের ওপর কি তাদের আস্থা আছে? উত্তরে কমিশন বলে, এই বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারবে না।

কারণ হিসেবে এসএসসি (School Service Commission) জানায়, সংশ্লিষ্ট ওএমআর শিটগুলি কমিশনের দফতর থেকে উদ্ধার করা হয়নি। আদালতের নির্দেশ অনুসারে সেগুলি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই হস্তান্তর করে। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান সম্বন্ধে জাস্টিস বসাক বলেন, তারা যদি ওএমআর শিট সম্বন্ধে নিশ্চিতই না হয়, তাহলে কীসের ভিত্তিতে আদালত পুনরায় মূল্যায়নের নির্দেশ দেবে?

আরও পড়ুনঃ বাংলায় CAA চালু না করার হুঙ্কার মমতার! রাজ্যের কাছে কি এই অধিকার আছে? মুখ খুললেন শাহ 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের কথায়, নিয়োগ নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন সামনে এসেছে। তাই আদালত যদি পুনরায় মূল্যায়নের নির্দেশ দেয় তাহলে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের মূল্যায়ন করে নতুন প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের দেওয়া উত্তরপত্র (OMR Sheet), ইন্টারভিউয়ের নম্বর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে পুনরায় মূল্যায়ন করা যেতে পারে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

calcutta high court on ssc recruitment scam

এদিন টেন্ডার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। অতীতের মতো বন্ধ দরজার পিছনে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে না বাইরে, সেটা জানতে চান তিনি। এটুকুই নয়, টেন্ডার ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ই-টেন্ডার ডাকতে হয়, একথাও বলেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার কথা উঠেছিল। বৃহস্পতিবার ফের পাওয়া গেল এমনই ইঙ্গিত।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর