বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তে ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই (CBI)। সেই ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি ও সিবিআই। সাফল্যের পাশাপাশি দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে একাধিকবার তদন্ত পক্রিয়া নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখেও পড়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিনও ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সময় দিলেও তথ্য খুঁজে দিতে ব্যর্থ সিবিআই। তাই এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
দুর্নীতির তদন্তে এবার রতন টাটা গ্ৰুপ?
প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় (Primary Recruitment Scam) ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সিবিআই সার্ভারের মূল তথ্য উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বার অন্য সংস্থা নিয়োগ করা হোক।
বিচারপতি বলেন, প্রয়োজন হলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কোনো সংস্থা, উইপ্রো কিংবা টিসিএস-এর মতো সংস্থারও সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। উল্লেখ্য, রতন টাটার সংস্থা টিসিএস (TCS)। সিবিআই-কে বিচারপতির আরও নির্দেশ, বিশেষ প্রয়োজনে সার্ভারের মূল তথ্য উদ্ধার করতে বিশ্বের যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করা হোক।
এই মামলার আগের শুনানিতে প্রাথমিকের নিয়োগে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই কে (CBI) আসল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য জমা করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উত্তরপত্র স্ক্যান করার পর কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল সেই নিয়ে বিস্তারিত জবাব তলব করেন জাস্টিস মান্থা।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে বিরাট মোড়! অবশেষে ED-কে সেই তালিকা দিল রাজ্য, বাতিলের পথে লক্ষ লক্ষ কার্ড?
এদিন সিবিআই আদালতে জানায়, তারা ওই তথ্য জমা দিতে পারছে না। এরপরই ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন এই মামলায় ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা উদ্ধার করতে যে খরচ হবে, তা বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার।
২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় অরিজিনাল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এ কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে ডিজিটাইজ়ড কপি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করে পর্ষদ। বলা হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি কোম্পানি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছিল। তারাই ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি রেখেছিল। প্রথমে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি মান্থা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তবে আদালতে সিবিআই রিপোর্ট জমা করলেও তাতে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট।