মহিলাদের পাশাপাশি এবার পুরুষরাও পাবেন ৭৩০ দিনের ছুটি? বড় রায় দিল হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

calcutta high court(35)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিশুপালনের জন্য লম্বা ছুটি (Child Care Leave case) পেয়ে থাকেন মহিলা সরকারি কর্মীরা। কিন্তু পুরুষদের জন্য সেই সুবিধা নেই। এই নিয়েই মামলা। শিশুপালনের জন্য ছুটি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন একজন ‘সিঙ্গেল ফাদার’। সন্তানের দেখভালের জন্য এই ছুটির আবেদন করেছিলেন তিনি।

কী বলল হাইকোর্ট? Calcutta High Court

WBPAY- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলাটির সূত্রপাত হয় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানান, পুরুষদেরও শিশুপালনের জন্য ছুটি পাওয়া উচিত। লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ অমান্য করে। এই নিয়ে অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।

এই মামলার আবেদন করেছিলেন একজন ‘সিঙ্গেল ফাদার’। নিজের সন্তানের দেখভালের জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে রাজ্য সরকারের এই মুহূর্তে মহিলাদের ন্যায় পুরুষদের জন্যও ৭৩০ দিনের শিশুপালন ছুটির নীতি চালু করার বিপক্ষে একাধিক যুক্তি খাড়া করে।

রাজ্যের যুক্তি, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে পুরুষ সরকারি কর্মীর সংখ্যা মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই এত বিপুল সংখ্যক পুরুষ কর্মীকে দীর্ঘমেয়াদী ছুটি দিলে সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজও অনেকাংশে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।

আদালতে রাজ্য জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য পুরুষ কর্মীদের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতি থাকলেও, এই মুহূর্তে রাজ্যের পক্ষে তা চালু করা সমস্যাজনক। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে রাজ্যের পক্ষে সমস্ত পুরুষ কর্মীর জন্য ৭৩০ দিনের শিশুপালন ছুটির নীতি চালু করা কঠিন বিষয়।

আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পুরুষ কর্মীদের জন্য শিশুপালন ছুটির বিষয়ে নীতি গ্রহণের বিষয়ে রাজ্য বিবেচনা করবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্যে যে নীতি রয়েছে তাও ভবিষ্যতে অনুসরণ করার কথা আদালতে জানায় রাজ্য সরকার।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: ‘দ্রুত তালিকা জমা দিন’, রাজ্যে প্রাইভেট টিউশনি করা সরকারি শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে পাঠাল ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

সবদিক বিবেচনা করে আদালত অবমাননার মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। তবে মানবিক দিক থেকে মূল মামলাকারী ‘সিঙ্গেল ফাদার’কে বিশেষভাবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে এই বিষয়ে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীর আবেদন বিচার করে প্রধান সচিবকে একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।