বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সেনাদের নিয়ে করা মমতার মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ জানাতে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার জন্য অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা। এদিন আদালত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানাল, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের ধর্নায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ধর্নার অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা | Calcutta High Court
সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘৩০০-৪০০ জন পর্যন্ত হলে কোনও আপত্তি নেই।’ আন্দোলন স্থলে গার্ডরেলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। আন্দোলনকারীদের ধর্নায় কোনও সমস্যা নেই বলে আদালতে জানায় রাজ্যও।
যদিও রাজ্য জানায় এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল মঙ্গলবার তারা জানাবে। এই মামলায় এখনও চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। মঙ্গলবার এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। আগামীকালই মামলায় চূড়ান্ত রায় দিতে পারে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা সেনার অনুমতি পেয়েছেন।
মূল ঘটনা: সম্প্রতি ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মেয়ো রোডে প্রতিবাদ মঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। যদিও সেনা তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য সর্বোচ্চ ২ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে মঞ্চ থাকায় সেনা কর্মীরা ত্রিপল, বাঁশ, ফ্লেক্স খুলে ফেলেন। এই নিয়েই উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি।
সেই সময় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মঞ্চ যাতে না খোলা হয় সেই কারণে সেনাদের আটকানোর চেষ্টা করলেও, বাধা পেরিয়েই চলে মঞ্চ খোলার কাজ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুহূর্তে বদলে যাবে আবহাওয়া! কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা! আর কোথায় কোথায় দুর্যোগ?
সেনার ভূমিকায় মমতা বলেছিলেন, “এটা সেনার কাজ নয়, এর পিছনে বিজেপি ও দিল্লির নির্দেশ রয়েছে।” মমতার অভিযোগ, প্রায় ২০০ সেনাকর্মী তাঁকে দেখে ছুটে পালায়। সেনারা রাজনৈতিক চাপে কাজ করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের দোষ নেই বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মন্তব্যকেই ‘অবমাননাকর’ বলে আদালতে যান অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তারা।