বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিরাট বিপাকে মানিক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তারপর থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় মানিকেরই কিছু ছাত্র।
এক কালে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষর দায়িত্বে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য ১৯৯৮ সাল থেকে ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মামলাকারী ছাত্রদের দাবি নিয়ম ভেঙে পদে বসেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। এই মামলাতেই এবার বিরাট নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।
প্রসঙ্গত, মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি কোনও কলেজের অধ্যক্ষর পদে বসতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমপক্ষে ১৫ বছর কোনও কলেজে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকা চাই। তবে মানিক বাবুর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তাই যতদিন তিনি অধ্যক্ষ ছিলেন, সেই বেতন হিসাবে পাওয়া অর্থ ফেরত নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে (Justice Abhijit Ganguly) মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার এই মামলাতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ফের কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির। যোগেশ চন্দ্ৰ ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে মানিক যে বেতন পেয়েছেন, তা অবিলম্বে রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দাপিয়ে বৃষ্টি! রাজ্যের ৫ জারি লাল সতর্কতা, আজ কোথায় কোথায় রেকর্ড বর্ষণের পূর্বাভাস?
অন্যদিকে, এদিনইযোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্কাকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা নেই’, এই কারণেই তাকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়! তাদের ঘরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তালা মারার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
ওই কলেজের আরও এক অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তারও কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই দুই জনারই পদে বসার জন্য যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রসঙ্গত রাজ্যের কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষদের যোগ্যতামান স্থির করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। ইউজিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় তাদের অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই দুই ব্যক্তি যদি নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাদের পুনর্বহাল করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি।