বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় এবার শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই। কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। পুলিশ চাইলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। সাফ জানালেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। শাহজাহানকে পার্টি করার বিষয়টি দুটি সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে জানাবে হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের রয়েছে। তাই পুলিশ চাইলে অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করতে পারে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ঘটনার পর ৫৩ দিন হয়ে গিয়েছে এখনও অধরা শাহজাহান। পুলিশের খাতায় তিনি ফেরার। সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সন্দেশখালির মানুষজন। কিকরে এত কিছুর পরও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহজাহান? পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সরব হন সাধারণ মানুষজন।
ওদিকে সম্প্রতি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা তৃণমূলের শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দলেরই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছিলেন, ‘আদালত একবার পুলিশকে দায়িত্ব দিক। ১০ দিনের মধ্যে শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হবে’।
আবার গতকাল রবিবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে ফের অভিষেক বল ঠেলেন সেই হাইকোর্টের দিকেই। অভিষেক বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে রাজ্য প্রশাসন বা তৃণমূল আড়াল করছে না। যদি কেউ আড়াল করেই থাকে তা হল বিচার ব্যবস্থা।’ অভিষেকের কথায়, ‘আদালতে রাজ্য প্রশাসন স্থগিতাদেশ চায়নি। চেয়েছে ইডি। রাজ্য প্রশাসনের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত প্রশাসনের হাত বেঁধে রাখলে শাহজাহানকে কীভাবে গ্রেফতার করা যাবে?’
অভিষেকের সাফ কথা, ‘শেখ শাহজাহানকে যদি কেউ গার্ড করে থাকে সেটা বিচারব্যবস্থা করছে। জুডিশিয়ারি স্টে তুলে দিক, তারপর যদি পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারে, তখন আমাকে এসে বলবেন।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘ইডিকে বছরের পর বছর, দীর্ঘ সময় দেওয়া হয়। আর পুলিশকে ১৫ দিন সময় দেওয়া যায় না? এই বৈষম্য কেন?’
আরও পড়ুন: ‘শাহজাহানকে দমানো যাবে না’, টোটো থেকে অটো, এবার ‘বাঘের’ সমর্থনে সন্দেশখালিতে পোস্টার যুব তৃণমূলের
‘গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তারাই এফআইআর করে। ওই ঘটনায় সিট গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি আপিল করে রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চায়। সেই স্টে আর্জি মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ৬ মার্চ শুনানি রয়েছে। পুলিশ কীভাবে গ্রেফতার করবে?’ হাই কোর্টের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। তবে এদিনই নেতার সমস্ত দাবি খারিজ করল আদালত।