বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে আদালতের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার প্রকাশিত ‘দাগি’ শিক্ষকদের তালিকা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক সোমবার পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করে দাবি তুলেছেন, আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
অস্বচ্ছ প্রক্রিয়াতে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি একাধিক প্রার্থীর
এসএসসি শনিবার মোট ১,৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করেছে, যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলা হয়েছে। তালিকায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ একাধিক প্রার্থীর নাম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নয়, বরং অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, যাঁরা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা হঠাৎ করে কীভাবে ‘দাগি’ হয়ে গেলেন?
তালিকা প্রকাশ হতেই আদালতে (Calcutta High Court) একের পর এক মামলা দায়ের
তালিকার বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রার্থীদের একাংশ সোমবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন। তাঁদের যুক্তি, কমিশন যদি নামের পাশে ‘দাগি’ তকমা বসায়, তবে অন্তত ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার অধিকার তাঁদের রয়েছে বলেই দাবি। হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি সৌমেন ভট্টাচার্যের এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হতে পারে।
অন্যদিকে, সোমবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, সব দাগি প্রার্থীকে কি সত্যিই বাদ দেওয়া হয়েছে? উত্তরে এসএসসি জানায়, “হ্যাঁ, কাউকেই রাখা হয়নি।” তবে একই বিষয়ে বারবার মামলা দায়ের হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি। তাঁদের মন্তব্য, “একই বিষয়ে এত মামলা কেন? প্রতি দিন একই বিষয়ে এখানে মামলা আসছে। আমরা সব বিষয় বিবেচনা করেছি।”
এদিনই আদালত জানায়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ন্যূনতম নম্বর নির্ধারণে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশিই এসএসসির নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএসসির নীতিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে, এবং দাগি অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনার ফলে এখন সব নজর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দিকে। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হলে বিচারপতির সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট হবে, দাগি তকমা পাওয়া প্রার্থীরা ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন কি না।