Ekchokho.com 🇮🇳

‘রাজনীতিক এমন অভিযোগ করলে সেটা কোর্টের জন্য বিড়ম্বনার’, সুকান্তর মামলায় হলফনামা তলব হাইকোর্টের

Published on:

Published on:

Calcutta High Court on Sukanta Majumdar row

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ—একটা-দু’টো নয়, বারবার তাঁকে হেনস্থা করছে। কখনও পথ আটকানো, কখনও গ্রেফতার করে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা। এবার সেই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যান তিনি। শুনানিতে আদালত চাইল হলফনামা, আর মন্তব্য করল—রাজনীতিকের অভিযোগে কোর্ট (Calcutta High Court) বিব্রত। উঠল প্রশ্ন—এইসব কি (political harassment) নয়?

মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “এটা আমজনতা বললে কোর্ট (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু একজন রাজনীতিক এই অভিযোগ তুললে সেটা কোর্টের জন্য বিড়ম্বনার।” সঙ্গে পরামর্শ দিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে—এমন যেন না হয়। এই পর্যবেক্ষণ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিজেপি বলছে, এভাবেই বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।

তিনবার আটক, একবার গ্রেফতার—প্রমাণ কি মিলবে?

সুকান্তর (Sukanta Majumdar) আইনজীবীর বক্তব্য, তিনবার কোনও অনুমতি না নিয়েই পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। এমনকি লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে (Central Lock-up) ১৬ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখা হয়। কখনও চিকিৎসকের বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি, কখনও বজবজে যাওয়ার পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যের প্রশ্ন, তিনি কোথাও যাওয়ার অনুমতির আবেদন করেছিলেন কি? রাজ্য সরকার দাবি করে, কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ দেখানো হয়নি যে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে আটকানো হয়েছে। তাই এক্তিয়ার সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে রাজ্যের পক্ষ থেকে হলফনামা দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রাজনৈতিক নেতা বলেই কোর্টে বেশি দায়বদ্ধতা?

এই মামলার মূল বিতর্ক এখানেই। একজন রাজনীতিক হলে কি তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হলেও তা কোর্টের বিব্রতবোধের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়? আদালতের পর্যবেক্ষণ ঘিরে এখন নানা দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির বক্তব্য, এই রাজ্যে (video) করে রাখছে পুলিশ। শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই প্রশাসনের নজরে পড়ছেন নেতা-নেত্রীরা।

Sukanta Majumdar alleges police harassment

আরও পড়ুনঃ ‘বিচারপতিরাও দল করেন!’ কুণালের হয়ে লড়তে গিয়ে আদালতেই বিতর্কে কল্যাণ

এখন আদালতের (Calcutta High Court) দিকে তাকিয়ে রাজ্য ও বিজেপি—২৪ জুলাই ফের হবে এই মামলার শুনানি। তার আগে হলফনামা জমা দেবে উভয়পক্ষ। এই মামলার রায় শুধু সুকান্তর (Sukanta Majumdar) ভবিষ্যৎ নয়, রাজ্যে (law and order) প্রশ্নেও একটা বার্তা বয়ে আনবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।