বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসিতে (School Service Commission) অযোগ্য বা দাগিদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যোগ্যদের তালিকাও প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে যাঁরা যোগ্য হয়েও চাকরি হারিয়েছেন এমন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। চাকরি বাতিল হওয়া সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য-সহ তালিকা প্রকাশের আর্জিতে হওয়া মামলা মঙ্গলবার ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
কি নির্দেশ হাইকোর্টের? Calcutta High Court
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে মামলাকারীদের আবেদনে সাড়া দেয় নি হাইকোর্ট। গত এপ্রিল মাসে নিয়োগে দুর্নীতির কারণে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অযোগ্য প্রার্থী যেন না ঢুকে পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীদের তরফে দাবি তোলা হয়, ‘টেন্টেড’ বা দাগিদের আলাদা আলাদা ক্যাটেগরি উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হোক৷ পাশাপাশি যাঁরা এখনও পর্যন্ত অযোগ্য বা দাগি হিসাবে বিবেচিত হননি, নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে তাঁদেরও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের আর্জি জানানো হয়।
তবে মামলাকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। এসএসসি’র পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল, “অযোগ্যদের তালিকা আমরা প্রকাশ করে দিয়েছি। যোগ্যরা এখনও চাকরি করছেন। প্রতিদিন একেক জন একেকটা দাবি নিয়ে হাইকোর্টে আসবে কিন্তু সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।”
কল্যাণবাবু বলেন, “আমাদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ শেষ করতে হবে৷ অত্যন্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে দয়া করে আর কোনও নির্দেশ দেবেন না। নতুন নিয়োগে যদি কোনও অযোগ্য প্রার্থী থাকে তাহলে সেটা প্রমাণ করতে পারলে, তাঁর নাম নিয়োগের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়৷”

আরও পড়ুন: ঠান্ডা বাড়বে আরও! চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে আর কতটা নামবে তাপমাত্রা? আবহাওয়ার আগাম খবর
আইনজীবীর কথায়, “যাঁরা এখনও চাকরি করছেন, তাঁদেরই আনটেন্টেড হিসাবে বিবেচনা করা হবে। যাঁরা এখনও স্কুলে যাচ্ছেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁদের চাকরি রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে এসএসসি।”












