বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মার্চ মাসে গার্ডেনরিচে যে ঘটনা ঘটেছিল তার রেশ এখনও টাটকা। একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে প্রায় যায় ১৩ জনের। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কার্যত স্বীকার করে নেন ওই নির্মাণটি বেআইনি ছিল। এরপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে শহর কলকাতার অবৈধ নির্মাণ। কলকাতা হাই কোর্টও (Calcutta High Court) অবৈধ নির্মাণ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এবার যেমন বিধাননগর পুরনিগম (Bidhannagar Municipal Corporation) এলাকায় প্রায় ৩৩৩টি অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর। পুরসভার তরফ থেকেই এই চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাড়ি ভাঙার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়ির মালিকদের অভিযোগ, একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভালো ভাবে খতিয়ে না দেখেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাড়ি ভাঙার। তাই এবার ওই সকল বাড়ির মালিকরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (TS Sivagnanam) নির্দেশ দেন, ৩৩৩টি নির্মাণের বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁদের মনে হয় তাঁদের নির্মাণ অবৈধ নয়, সেটি বৈধ, তাঁরা বিধাননগর পুর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। সকল নথিপত্র দিয়ে তাঁদের আবেদন করতে হবে। এরপর কমিশনার সবকিছু খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুনঃ বাদ পড়েছে ভুয়ো ভোটার! ছাপ্পা কমতেই বাংলায় কমেছে ভোটের হার, যা জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন!
উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে পুরনিগমের তৎকালীন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সেই জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে পুরনিগম এলাকায় অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিতকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হতেই পুরসভার তরফ থেকে একটি দল গঠন করা হয়। শুরু হয় বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করার কাজ। ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় প্রায় ৩৩৩টি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর। তবে ওই নির্মাণের আবাসিকদের দাবি, পুরসভার তৎকালীন মেয়র সব্যসাচী সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নিজেদের স্বার্থপূরণের উদ্দেশে হাই কোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। এবার আদালতের তরফ থেকে সকল কাগজপিত্র সহযোগে বিধাননগর পুর কমিশনারের কাছে আবেদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে আবাসিকদের কিছুটতা সুরাহা হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।