বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajeet Basu) এজলাসে। সেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝেই এদিন নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি বসু।
ভরা এজলাসে এদিন বিচারপতি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।”
পাশাপাশি এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে যত শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শিক্ষকদের অনেকের চাকরিও এখন অনিশ্চিত।
বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যৌথভাবে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গতবছর গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিও এখন জেলে। এদিন আদালতে বিচারপতি বসু বলেন, ২০১৬ সালে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত পক্ষে ১০ শতাংশ বা হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
নবম-দশমের শিক্ষক পদে ইতিমধ্যেই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘসময় ডিভিশন বেঞ্চে রায় আটকে থাকলে এই বিষয়ে কমিশন নিজে থেকেই পদক্ষেপের কথা ভাববে। মোট ৯৫২ জনের বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। আদালতের চাপে তাদের ওএমআর শিট নিজেদের সাইটে প্রকাশ করেছে এসএসসি। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে কমিশন।