বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ইতিমধ্যেই জেলবন্দী রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী। এই নিয়োগ মামলা নিয়ে প্রায়দিনই শুনানি চলছে আদালতে (Calcutta High Court)। এমনিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খোদ রাজ্যের প্ৰাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর নাম জড়ানোর পর থেকে তোলপাড় হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি।
প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
বিগত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরগরম রাজ্য। এরইমধ্যে এবার প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে ওই নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
২০০৯ সালে ওই জেলার প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ। জানা যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বাম আমলের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই পরীক্ষায় ইন্টারভিউ বোর্ডের পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন মৃণালকান্তি মাইতি।
আরও পড়ুন: জামিনের শুনানি শেষ! হাইকোর্টে আজও ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব তুলল CBI, কবে জেল মুক্তি পার্থর?
তাঁর অভিযোগ ছিল ওই পরীক্ষকেরা নাকি নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। আগেও একবার ওই মামলায় শিক্ষা দফতরের সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় মামলাকারীর দাবিতে সত্যতা রয়েছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সচিব।
মঙ্গলবার এই মামলাতেই নথি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এখানে বলে রাখা ভালো, এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসেই জাস্টিস অমৃতা সিংহ ২০০৯ সালের মালদহ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল দেখতে চেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল যে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল তার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। তারপরের বছরেই ২০১০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই অর্থাৎ ২০১১ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতায় দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস।