শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরাট রায়! হাই কোর্টের এক নির্দেশে রাতের ঘুম উড়ল শিক্ষকদের!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরগম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক ‘হেভিওয়েটে’র নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। দুর্নীতির জাল যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে অবাক অনেকেই। এবার ভোটের প্রাক্কালে জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ মামলার (GTA Teacher Recruitment Scam) তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।

মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে একজন সরকারি আধিকারিক তাঁকে চিঠি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই সিবিআই (CBI) প্রাথমিক অনুসন্ধান করবে এবং আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দেবে। একইসঙ্গে জিটিএ-ও (GTA) সেদিন একটি রিপোর্ট দেবে। যাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন? তাঁদের যোগ্যতা কী? এই বিষয়ে হলফনামার আকারে রিপোর্ট দিতে হবে জিটিএ-কে।

এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকারি আধিকারিকের লেখা সংশ্লিষ্ট চিঠিতে যে তথ্যের উল্লেখ রয়েছে তার বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। সেই কারণে এই বিষয়ে সিবিআইকে তৎপরতার সঙ্গে অনুসন্ধান করতে হবে। গতকালের শুনানিতে বিধাননগর (উত্তর) থানার ওসিকে বেশ কিছু কড়া প্রশ্নও করেন বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ প্রথম দফায় ভোটের ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ১০! কোন দলে সবচেয়ে বেশি? শুনলে ঢোক গিলবেন

একজন সরকারি আধিকারিক জাস্টিস বসুকে (Justice Biswajit Basu) জিটিএ-র অধীন নানান বিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে জাস্টিস বসুকে চিঠি লেখেন। তার ভিত্তিতেই মামলা করা হয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষা দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বিধাননগর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তবে তার প্রেক্ষিতে পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা এদিন জানতে চান বিচারপতি বসু।

এদিনের শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর (উত্তর) থানার আইসি। তাঁকে বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘আপনার কাজ বিশেষ কঠিন ছিল না। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন আপনাকে FIR করতে বলেছিলেন। আপনি কাউকে আড়াল করতে চাইলে সেটা আপনার বিষয়’।

calcutta high court gta teacher recruitment scam

এখানেই না থেমে জাস্টিস বসু জানতে চান আইসি অভিযোগপত্র দেখেছেন কিনা। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এখানে বিনয় তামাংয়ের নাম রয়েছে, সেটা আপনি দেখেছেন? FIR কেন করেননি? আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে না?’ জানা যাচ্ছে, বিনয় তামাং একা নন, নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাও রয়েছে বলে খবর।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর