বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক যুবকের চাকরি পাওয়া আটকে গেল ওজন নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে। আর সেই ঘটনাতেই হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মাত্র তিন দিনে কারও ১০ কেজি ওজন কমা কি সম্ভব? এই নিয়েই উঠল প্রশ্ন। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, এই অল্প সময়ে ওজন এতটা কমা সম্ভব নয়, তাই নতুন করে মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন।
৩ দিনে ১০ কেজি ওজন কমা কি সম্ভব? প্রশ্ন হাই কোর্টের (Calcutta High Court)
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন হুগলির বাসিন্দা বিট্টু গঙ্গোপাধ্যায়। শারীরিক সক্ষমতা-সহ সমস্ত পরীক্ষায় পাশ করলেও ওজনের কারণে তাঁর চাকরি আটকে যায়। জানানো হয়, নির্দিষ্ট মানের তুলনায় তাঁর ওজন বেশি। বিষয়টি মানতে না পেরে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি।বিট্টুর আইনজীবী জানান, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই CRPF-এর মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর ওজন মাপে ৮২ কেজি। অথচ তিন দিন পর, ২০ জুলাই সরকারি হাসপাতালে মাপা হয় ৭২ কেজি। এত কম সময়ে কীভাবে একজন মানুষের ওজন ১০ কেজি কমে যেতে পারে, এই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। ঠিক এই রিপোর্টকেই কেন্দ্র করে মামলা পৌঁছায় ডিভিশন বেঞ্চে।
হাই কোর্টের (Calcutta High Court)বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে বলেন, “মাত্র তিন দিনে কোনও ব্যক্তির ওজন এতটা হেরফের হয় না। কোনও একটি রিপোর্টে গলদ থাকতেই পারে।” আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কল্যাণী এমসে নতুন করে ওজন মাপা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চাকরির যোগ্যতা নির্ধারিত হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেও তাঁকে চাকরি দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন কেন? খেজুরি কাণ্ডের তদন্ত ঘিরে প্রশ্নে সরগরম হাই কোর্টের বেঞ্চ
আদালতের (Calcutta High Court) স্পষ্ট মত যে, রিপোর্টের বিভ্রান্তির কারণে যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা যায় না। এখন নজর কল্যাণী এমসের পরীক্ষার দিকে। সেই রিপোর্টই শেষমেশ নির্ধারণ করবে বিট্টুর ভাগ্য।