মানবিক জাস্টিস মান্থা! ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকাকে ‘সহানুভূতি বদলি’র নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ দু’বছর ধরে চলছে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই। মারণ রোগ থেকে মুক্তি পেতে চলছে কেমোথেরাপিও। শরীরের এই অবস্থা সত্ত্বেও রোজ ১২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাঁকুড়ার শিক্ষিকা পম্পা দাস রজক। বহুদিন ধরে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন, তবুও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ অবধি কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। এবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করল আদালত।

শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ। একদিকে কেমোথেরাপি চলছে, অন্যদিকে এই অবস্থাতেই রোজ ১২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে, আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পম্পা দাস রজক। এবার তাঁর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মানবিক দিক থেকে অবিলম্বে তাঁকে বাড়ির কাছাকাছি কোনও বিদ্যালয়ে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasehkhar Mantha)।

মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, তাঁর মক্কেল পম্পা দাস রজক পুরুলিয়ার ভাঙাবাঁধ হাই স্কুলের শিক্ষিকা (Teacher)। দীর্ঘ দু’বছর ধরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি, কেমোথেরাপিও চলছে। এদিকে তাঁর বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬২ কিলোমিটার। এই অবস্থায় দৈনিক ১২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁকে। যে কারণে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল থেকে বিজেপি, বাংলায় কোন দলের ঝুলিতে কত আসন? চমকে দেবে সমীক্ষার ফলাফল

তাই বাড়ির কাছাকাছি নিজের জেলার কোনও বিদ্যালয়ে বদলির (Transfer) আবেদন জানিয়েছিলেন পম্পা। তবে তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, বহুদিন ধরে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির আবেদন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থাকায় কোনও সুরাহা হচ্ছিল না সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার। শেষ অবধি তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।

calcutta high court orders bankura teacher transfer on humanity ground

পম্পা দাস রজকের চিকিৎসার দিকে নজর রেখে মানবিক দিক থেকে সহানুভূতির সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তাঁর বদলির আবেদন অবিলম্বে খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস মান্থা। হাই কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বদলির আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর