বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাই কোর্ট (Calcutta High Court) ও বিভিন্ন জেলা আদালতের উন্নয়নমূলক কাজ অনেক দিন ধরে আটকে রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় অনেক প্রকল্প এগোতে পারছিল না। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এই বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে বলেন। অভিযোগ, রাজ্যকে অনেকবার আদালতের কিছু প্রয়োজনীয়তার কথা জানান হয়েছে, কিন্তু রাজ্য এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আদালতের (Calcutta High Court) উন্নয়নের ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা
মুখ্যসচিব আদালতে জানিয়েছেন, আদালতের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই অর্থ হাই কোর্ট (Calcutta High Court) ও জেলা আদালতের ১৪টি প্রকল্পের কাজে ব্যয় হবে। বরাদ্দ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে বিচারপতিরা আরও ৫৩টি প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, যা এখনও সমাধান হয়নি। মুখ্যসচিব সেই বিষয়ে আরও সাত দিন সময় চেয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালে রাজ্যের কাছে আদালতের (Calcutta High Court) বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় বহু প্রকল্প আটকে যায়। হাই কোর্টে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, কার্টিজ কাগজের অভাব রয়েছে, এবং ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে সিসিটিভি ইনস্টলেশনও শুরু হয়নি। বিল্ডিং কমিটির অনুমোদিত ৫৫টি প্রকল্পের জন্য ৫.৬৯ কোটি টাকা বাকি, আর ৩০টি প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ বাকি রয়েছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া নিম্ন আদালত ও হাই কোর্টে কর্মচারীর অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছিল, দু’জন অফিসার নিয়োগ করার কথা ছিল কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বকেয়া কাজ অবিলম্বে শুরু হবে এবং প্রয়োজন হলে নজরদারি চালানো হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘ডিসমিস নয় কেন?’ তারকেশ্বরের ঘুষ চাওয়া মহিলা পুলিশ অফিসারকে নিয়ে আদালতের বিস্ফোরক মন্তব্য
মুখ্য সচিবের ঘোষণা অনুযায়ী যদি আদালতের (Calcutta High Court) ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ কার্যকর হয়, সেক্ষেত্রে হাই কোর্ট ও জেলা আদালতের আটকে থাকা অনেক প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৫৩টি বাকি প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্য অবস্থান জানাতে আরও সময় নিয়েছে। আগামী দিনে এই কাজ কতদূর এগোয় এখন সেটাই দেখার।