বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারেও দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার সেই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে যে সব দুর্গাপুজো কমিটি খরচের হিসাব দেয়নি, তাদের কেন অনুদান দেওয়া হল তা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী, জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
অনুদান মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য | Calcutta High Court
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সরকারি অনুদান নিয়ে কোথায় কত টাকা খরচ হচ্ছে, তা নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা করার কথা বলা হয়েছিল আগেই। কত পুজো কমিটি ওই সার্টিফিকেট জমা দেয়নি? না দেওয়া সত্ত্বেও সেই কমিটিগুলিকে কী অনুদান দেওয়া হচ্ছে?
পুজো অনুদান নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে এদিন রাজ্যের বক্তব্য তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন রাজ্যকে হাই কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে সওয়াল করেন, ২০২৩ সালে মার্চে হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল, ৫০০টির বেশি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্য ৩৬টি পুজো কমিটি ওই শংসাপত্র জমা দেয়নি বলে জানান এজি।
এজির সওয়ালে বিচারপতি সুজয় পাল বলেন, ‘‘আমরা কোনও সংখ্যায় যেতে চাইছি না। গত বছর পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মেনে যে সব পুজো কমিটি শংসাপত্র জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?” সেই সব কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে কী না সেই প্রশ্ন তোলেন জাস্টিস পাল।
আরও পড়ুন: এবার সময়ের আগেই মিলবে বেতন ও পেনশন! এই সরকারি কর্মীদের জন্য ‘সুখবর’, বিজ্ঞপ্তি জারি
অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, পরবর্তী শুনানির দিন পুরো বিষয়টি আদালতের সামনে রাজ্য তুলে ধরবে। উল্লেখ্য, আগের বারের থেকে এবার আরও অনুদান (Durgapujo Donation) বেড়েছে দুর্গাপুজোর। দুর্গাপুজোর জন্য এবার ক্লাবগুলির অনুদান একধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য। পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।