বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে জলসা দেখতে গিয়ে উদ্ধার হয়েছিল দুই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। প্রথমে পুলিশ দাবি করেছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ ছিল খুন করা হয়েছে। এরপর দু জায়গায় ময়নাতদন্ত করা হলে দুই ময়নাতদন্তের ভিন্ন রিপোর্ট আসে, যা নিয়ে ছড়ায় চাঞ্চল। এরপরেই কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই খেজুরিতে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী সুজিত দাস ও সুজিত পাইকের। তমলুক মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টে বলা হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। তখন থেকেই খুনের তত্ত্ব ফের জোরদার হয়।
তদন্তকারী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হাই কোর্টের (Calcutta High Court)
৩ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে (Calcutta High Court) শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদি ১৭ জনের কল রেকর্ড তলব করেন। সোমবার পুলিশ আদালতে জমা দেয় তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের কল ডিটেলস। রিপোর্টে উঠে আসে, পোস্টমর্টেমের ঠিক আগে এবং পরে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছিলেন তদন্তকারী অফিসার। এই তথ্য দেখে বিস্মিত হয় আদালত। প্রশ্ন ওঠে কেন ফোন করেছিলেন ওই পুলিশ অফিসার? তাঁর ভূমিকা কি সন্দেহজনক নয়?
সিআইডি আদালতে জানায়, চিকিৎসক ও আইও-র কল লিস্টে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এজি-ও জানান, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য হাতে আসেনি। তবে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে, যদি প্রমাণই না থাকে তবে মুখের কথার ভিত্তিতে রাজ্য কীভাবে দাবি করছে যে কিছু সন্দেহজনক নয়? এর পিছনে যুক্তি কোথায়? আদালতের নির্দেশে রাজ্য আগামী সোমবার নথি জমা দেবে।
আরও পড়ুনঃ মতুয়া ইস্যুতে অস্বস্তি! বনগাঁ-দমদমে সংগঠনের কোন্দল মেটাতে জেলাওয়াড়ি বৈঠকে অভিষেক
খেজুরি কাণ্ডে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব, তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় প্রশ্ন এবং রাজ্যের অস্পষ্ট অবস্থান, সব মিলিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। আগামী সোমবার ফের শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। আদালতের (Calcutta High Court) পরবর্তী রায়ের দিকেই এখন তাকিয়ে পরিবার এবং রাজনৈতিক মহল।