MRP-র চেয়ে বেশি দাম, তার সঙ্গে সার্ভিস চার্জ, হাই কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে কলকাতার একাধিক নামিদামি রেস্তোরাঁ

Published on:

Published on:

Calcutta High Court questions restaurants over extra billing

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময়ে অনেক সময়েই ক্রেতাদের অভিযোগ থাকে অতিরিক্ত বিল নিয়ে। বাইরে যে জিনিস ২০ বা ৩০ টাকায় পাওয়া যায়, সেটাই রেস্তোরাঁয় গিয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম দিতে হয়। তার সঙ্গে আবার সার্ভিস চার্জও বসানো হয়। এই নিয়ে এবার সরব হল ক্যালকাটা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

MRP-র থেকে বেশি দাম নেওয়া নিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে নামিদামি রেস্তোরাঁগুলি

কলকাতার নামিদামি রেস্তোরাঁগুলো ক্রেতাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা নিয়ে শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় ও বিচারপতি তুষার রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে যে, ক্রেতাদের থেকে MRP থেকে বেশি দাম কেন নেওয়া হচ্ছে? দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর আদালত স্পষ্ট জানায়, তিনভাবে টাকা নিচ্ছে রেস্তোরাঁগুলি। খাবারের দাম, সুন্দর অভিজ্ঞতার জন্য নেওয়া হচ্ছে টাকা, এছাড়াও নেওয়া হচ্ছে সার্ভিস চার্জ।

গত মার্চে ক্যালকাটা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রেস্তোরাঁগুলি বাধ্যতামূলকভাবে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন। ন্যাশনাল রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া ও ফেডারেশন অব হোটেলস অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা আদালতে উল্লেখিত প্রসঙ্গে যুক্তি দেন।

জলের বোতলের উদাহরণ টেনে প্রশ্ন আদালতের (Calcutta High Court)

আদালত (Calcutta High Court) একটি উদাহরণ দিয়ে বলে, “২০ টাকার জলের বোতল ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তারপরও কেন সার্ভিস চার্জ দিতে হবে? কেন মেনুতে ১০০ টাকার লেখার সময় লিখে দিচ্ছেন না যে ৮০ টাকা অ্যাম্বিয়েন্সের জন্য নেওয়া হচ্ছে? অ্যাম্বিয়েন্স টা তো সার্ভিসেরই অংশ? এভাবে চলতে পারে না।”

Calcutta High Court questions restaurants over extra billing

আরও পড়ুনঃ নামফলকে বাংলা না থাকলে বন্ধ হতে পারে ব্যবসা, কলকাতার শপিংমল গুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ফিরহাদ হাকিম

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রেস্তোরাঁয় জোর করে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়টি তারা মেনে নেবে না। অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে আদালত নীরব থাকবে না বলেই মন্তব্য করেছে বেঞ্চ।