বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন বিতর্কের মুখে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৭ ও ২০২২ সালের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট অর্থাৎ TET এ উত্তীর্ণ হতে না পারা একাংশ প্রার্থী দাবি করছেন, ওই পরীক্ষাগুলিতে প্রায় ২০টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তাদের বক্তব্য, এই ভুল প্রশ্নে যদি নম্বর পাওয়া যেত, তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন। এই বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “ভুল প্রশ্নে যদি নম্বর দেওয়া হয়, অনেকেই আবার পাশ করবেন। ফলে এই সিদ্ধান্ত আসার আগে কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলো? এতে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করতে পারছেন না।”
১৩,৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ
প্রসঙ্গত, টেটের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। রাজ্য জুড়ে ১৩,৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পুজোর পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স-হ্যান্ডেলে (X) বিষয়টি জানিয়েছেন। তার মিনিট কুড়ির মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হবে। মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হবে। মাধ্যমিক-৫ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক-১০ নম্বর, এনসিটিই ট্রেনিং-১৫ নম্বর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET)-৫ নম্বর, সাক্ষাৎকার-৫ নম্বর, অ্যাপটিটিউড টেস্ট-৫ নম্বর এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি-৫ নম্বর।
আরও পড়ুনঃ সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার রেশ এবার আদালতে, NIA তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
তবে এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) শরণাপন্ন হয় টেটে উত্তীর্ণ হতে না পারা প্রার্থীদের একাংশ। প্রশ্নভুল মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কারণে আদালতে আপত্তি তোলা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্নভুলের মামলার নিষ্পত্তির আগে কেন নতুন নিয়োগ শুরু হলো, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।