‘আমাদের ভুল হয়েছে’ SSC মামলায় হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নিলেন কমিশনের আইনজীবী

Published on:

Published on:

calcutta high court(30)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ কমিশন। পাশাপাশি ফের অযোগ্যদের মামলা বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২৬০০০ চাকরি বাতিলের পর নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে। সেই নতুন পরীক্ষায় ‘দাগি’দের বসার সুযোগ করে দিতে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টের একক বেঞ্চে। একক বেঞ্চ আর্জি খারিজ করলে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে হয় মামলা। এবার ডিভিশন বেঞ্চও সেই রায়ই বহাল রাখল।

SSC মামলায় হাইকোর্টে ভুল স্বীকার কমিশনের | Calcutta High Court

এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন বিচারপতি। এসএসসির উদ্দেশে জাস্টিস চক্রবর্তী বলেন, ‘আপনাদের অফিসাররা কেন কাঠগড়ায় উঠবেন না? কেন আপনাদের অফিসারদের চাকরি যাবে না?’

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘যেখানে এত-এত ছেলেমেয়ের চাকরি যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে দাগিদের কোনও ভাবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া যাবে না, সেখানে কী করে কমিশন তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড দিল?’ উত্তরে কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘এত লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে কে অযোগ্য আর কে নয় এটা বাছাই করা যায়নি। তাই অ্যাডমিট কার্ড দিতে হয়েছে। ওটা ভুল হয়েছে।’

পাল্টা বিচারপতির প্রশ্ন, ‘আপনাদের অফিসাররা এত গুরুতর ভুল কী করে করেন? তারপরেও তাঁদের কী করে চাকরি করে যায় না?’ প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। পাল্টা কল্যাণবাবু বলেন, ‘তাহলে সব দাগিদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়ে দিন।’ ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলায় তাহলে আমরা রেকর্ড করছি, এসএসসির কনসেন্ট নিয়ে আমরা পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছি?’ যদিও কল্যাণ বলেন, ‘ না, আমাদের তাতে সায় নেই।’

calcutta high court(28)

আরও পড়ুন: ‘৫০০০০ টাকায় বিক্রি হবে প্রশ্ন, রেকর্ডিং পেয়েছি’, SSC নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা ‘দাগি’দের হয়ে সওয়াল করেন। তাতে বিরক্ত হয়ে বিচারপতি বলেন, ‘এখানে বোঝানোর কোনও সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্ট গোটা ব্যাপারটায় নজরদারি করছে, দাগিদের বিষয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। এই ভাবে আবেদন করলেও অন্য কিছু ভাবতে বা বলতে পারা যায় না। সেই সুযোগ নেই।”

মামলাকারীদের কিছু বোঝাতে হলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। সবমিলিয়ে এদিন ৩৫০ আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চে।