‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে…’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের, বড় নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার (State Government)। জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (GTA Recruitment Scam case) রাজ্যকে রীতিমতো ভর্ৎসনা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিগত কিছুটা সময়ে সমতলের মত পাহাড়ের এই দুর্নীতি নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয় রাজ্য।

আগেই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দিয়েছিল রাজ্য। সেই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, “এফআইআর-এ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ত্রিণাঙ্কুর, বিনয় তামাং, প্রান্তিক-সহ সাত জনের নাম থাকলেও তাদের কেন একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না কেন?”

গোটা ঘটনাকে “খুব দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি” বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। এর প্রেক্ষিতেই রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বসু বলেন, “মামলার পিটিশন বাতিল করার আবেদন করুন তদন্তের প্রয়োজন হবে না। এটা সহজ কাজ।” “সময় এসেছে, এবার পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালত জোর না দিলে কিছুই হবে না।” তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।

আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত অপরাধী..,’ আর জি কর কাণ্ডে রায় ঘোষণার আগে বিকাশরঞ্জন যা বললেন, জোর শোরগোল

পাহাড়েও শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

calcutta high court

উল্লেখ্য, পাহাড়ে দুর্নীতির বিষয়ে বিচারপতি বসুর কাছে এক সরকারি অফিসার এক চিঠি দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত দু’টি বেনামি চিঠি জমা পড়েছিল আদালতে। এই সব চিঠি খতিয়ে দেখতে সিবিআই-কে দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত। তবে রাজ্য পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে গেলে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর