বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। ‘যে মামলা মনে হবে তদন্তভার নেবে, আর যেটা ইচ্ছে করবে না সেটার তদন্তভার নেবে না, এমনটা হতে পারে না’, এদিন স্পষ্ট জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বড় নির্দেশ দেন তিনি।
সিবিআইকে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের (SBI) করা একটি মামলায় এদিন উচ্চ আদালতে ভর্ৎসিত হয় সিবিআই। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অভিযোগ, ২০২২ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের দাবি, দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম বলছে, ৬ কোটি কিংবা তার চেয়ে বেশি টাকার আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক।
এসবিআইয়ের অভিযোগ, প্রায় বছর দুয়েক পর সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয় তারা এই ঘটনার তদন্তভার নিতে পারবে না। এরপরেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ব্যাঙ্ক। গতকাল সেই মামলাতেই উচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এভাবে ইচ্ছে মতো তদন্তভার নেওয়া যায় না, স্পষ্ট বলেন বিচারপতি ঘোষ। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২১ ডিসেম্বর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ চারদিনে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি! ‘কব্জি কেটে নেব’! বাংলাদেশকে চরম হুঁশিয়ারি পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির
এদিকে এসবিআইয়ের মামলার তদন্তভার গ্রহণ না করার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের তরফ থেকে বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে তদন্ত করতে গেলে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) অনুমতি কিংবা আদালতের নির্দেশ দরকার।
একথা শোনার পর জাস্টিস ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) পর্যবেক্ষণ, এটা রাজ্য সরকারের কোনও দফতর না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। সেখানে ব্যাঙ্ক কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারেন। রাজ্য সরকারের অনুমতি কেন দরকার? যদি দরকারও হয়, সেক্ষেত্রে কেন রাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হল না? সিবিআই যদি এই ঘটনায় আবেদন করে তাহলে রাজ্য অনুমতি দেবে না এমনটা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে রাজ্যের তরফ থেকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানানো হয়, এই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই রাজনীতি করছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। হয়তো কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর অনেক মামলার চাপ রয়েছে। তারা তদন্তভার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হয়তো এমন কৌশল নিয়েছে বলে পাল্টা দাবি করে রাজ্য।