বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘু হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের বিভিন্ন জেলে আটক রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। অভিযোগ, নিম্ন আদালত নানা অজুহাতে তাঁদের জামিন দিচ্ছে না, অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ না নেওয়ার।
মামলা দায়ের করে আদালতে (Calcutta High Court) কি বলেন আইনজীবী?
মামলাকারী গোপাল গয়ালির তরফে এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি আদালতে (Calcutta High Court) বলেন, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘু শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু তবুও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে, যা সরকারের নিজস্ব নির্দেশের পরিপন্থী।
তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে (Calcutta High Court) জানান, “২০২৪ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এসে বসবাস করছেন বহু হিন্দু পরিবার। কিন্তু তাঁদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা আছে এই শরণার্থীদের ফৌজদারি মামলায় জড়ানো যাবে না। নিম্ন আদালত নানা অজুহাতে জামিনও দিচ্ছে না।”
এই প্রেক্ষিতে তিনি হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল-এর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি জানান, “আগে মামলা দায়ের হোক, তারপর শুনানি গ্রহণ করা হবে।” আদালত জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান আইনজীবী তিওয়ারি।
ধর্মীয় নিপীড়নের শিকারদের জন্য কেন্দ্রের ছাড়
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান) বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। এটি ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (এক্সেম্পশন) অর্ডার, ২০২৫’-এর অন্তর্ভুক্ত। এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই সম্প্রদায়ের মানুষরা যদি ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হন, তবে তাঁরা ভারতে আশ্রয় নিতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ SIR নিয়ে পথে মমতা-অভিষেক! ‘শৃঙ্খলা ভাঙলে রেহাই নেই’ বার্তা নেত্রীর, আর কী বললেন?
এদিকে সম্প্রতি সোনালি খাতুন-সহ ছয়জন পরিযায়ীকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাগিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। অভিযোগ, ২৬ জুন দিল্লি থেকে তাঁদের অসম সীমান্তে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। আদালতে (Calcutta High Court) তাঁরা দাবি করেছেন, তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারইয়ের পাইকরে বসবাস করছেন। অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি-সহ বাকিরা এখনও বাংলাদেশে রয়েছেন বলে খবর। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপরও।













