বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের চাকরি কেলেঙ্কারিতে উত্তাল রাজ্য। এবার অভিযোগের আঙুল স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের দিকে। অভিযোগ সরকারি চাকরির স্বপ্ন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী মহিলার পরিবার। এই ঘটনায় আরও একবার প্রকাশ্যে এল রাজ্য সরকারের দুর্নীতির ছবি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েত প্রধান স্বামী অভিযুক্ত নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিক। অভিযোগকারীর স্বামী মহম্মদ মাজহার আলি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী প্রাইমারি শিক্ষক পদে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তারপরই তাঁদের কাছে যোগাযোগ করেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর তিনি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধাপে ধাপে কয়েক লক্ষ টাকা নেন। প্রথমে বিশ্বাস করেই টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু সময় গড়াতে থাকে, চাকরির কোনও খবর নেই। ২০২০ সালে প্রথম সন্দেহ হয় পরিবারের। একাধিকবার নিখিল রঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এরপর ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত। এমনকী, তদন্ত কতদূর এগোল, সেটাও জানা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন মাজহার আলির পরিবার। আদালতে তাঁরা জানান, একাধিকবার সিবিআই-এর কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থাও নীরব।
এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুনানির সময় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “তদন্তের রিপোর্ট যত তারাতারি সম্ভব জানতে হবে।” সেইসঙ্গে আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয় কেস ডায়রি পেশ করার। পাশাপাশি, যেহেতু পরিবার এখন হুমকির মধ্যে রয়েছে, তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক চাকরি কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের নাম উঠে এসেছে। নদিয়ার এক প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ সাত সকালে দাপুটে তৃণমূল নেতার ভাইপোকে কুপিয়ে খুন! চাঞ্চল্য কাকদ্বীপে
নিখিল রঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বহু চাকরিপ্রার্থীকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন। এখন আদালতের নজরে রয়েছে বিষয়টি। এখন অপেক্ষা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পরবর্তী শুনানির জন্য।