বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সভা বা মিছিল করতে গেলেই কেন বিরোধী দলগুলিকে বার বার আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে? এই প্রশ্নই এ বার তুলে ধরল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের মতে, এমন বিষয়ের জন্য প্রতিদিন আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হওয়া উচিত নয়। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট।
পাবলিক প্লেসে সভা বা মিছিল করার গাইডলাইন জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)
সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে একটি সভার অনুমোদন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতির বক্তব্য, পাবলিক প্লেসে কেউ সভা বা মিছিল করার অনুমতি পাবে কি না, তা নির্ধারণ করার জন্য রাজ্যের নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকা উচিত। সেই ধরনের কোনও গাইডলাইন আদৌ আছে কি না, তা জানতে রাজ্যের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাই কোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও দল বা সংগঠন সভা বা মিছিলের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। ফলে আদালতকে এই ধরনের মামলায় সময় দিতে হচ্ছে, যার জেরে সাধারণ মানুষের করা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে দেরি হচ্ছে। অথচ সভা বা মিছিল রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা। তার জন্য বার বার হাই কোর্টে আসার প্রয়োজন কেন? এই প্রশ্নই তুলেছে আদালত।
আদালত (Calcutta High Court) আরও জানায়, প্রায় তিন বছর আগে একই বিষয় নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ একটি গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই গাইডলাইন কলকাতা পুলিশ মেনে চললেও, রাজ্য পুলিশ তা মানছে না, এই অভিযোগ মামলাকারীদের।
এ দিন আদালতের বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ পায় হাসনাবাদে বিজেপির একটি সভাকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলায়। হাই কোর্ট (Calcutta High Court) শর্তসাপেক্ষে ওই সভার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও পুলিশ আয়োজকদের কাছে একাধিক প্রশ্ন পাঠায়। জানতে চাওয়া হয়, সভার জন্য জেনারেটর কার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হবে, মাইকের সাউন্ডের দেখভাল কে করবেন, ডেকরেটার কে থাকবেন, এই ধরনের নানা প্রশ্ন লিখিত ভাবে পাঠান সাব-ইনস্পেক্টর প্রতিবিন্দু দাস।
ওই সাব ইনস্পেক্টর এ দিন আদালতে হাজিরা দেন। তাঁকে কড়া ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তাঁকে ‘ওভারস্মার্ট’ বলে মন্তব্য করেন এবং কেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না, সে বিষয়ে হলফনামা দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুনঃ স্বপন কামিল্যা খুনে নয়া মোড়, আত্মসমর্পণের জন্য বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিল হাই কোর্ট
সব মিলিয়ে, সভা বা মিছিলের অনুমতি নিয়ে রাজ্যের স্পষ্ট নীতি ও প্রশাসনিক অবস্থান কী, তা নিয়েই এ বার রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহলের কাছ থেকে জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।












