পথকুকুরের দাপটে নাজেহাল রাজ্য, কড়া হস্তক্ষেপের পথে কলকাতা হাই কোর্ট

Published on:

Published on:

Calcutta High Court seeks report on stray dog sterilisation progress

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে দিন দিন বাড়ছে পথকুকুরের সংখ্যা, সঙ্গে বাড়ছে কুকুরের কামড়ের ঘটনাও। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতিদের প্রশ্ন, পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাত্বকরণ ও প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ কতদূর এগিয়েছে? রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভার কাছ থেকেও এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

কলকাতার পথপুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণ নিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে রাজ্য

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত জানতে চায়, “কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণের কাজ কত দূর এগিয়েছে? প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ কি নিয়ম মেনে হচ্ছে?” সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভা এবং বিধাননগর পুরসভার রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বলা হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আইনজীবী আকাশ শর্মা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, রাজ্যে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁর অভিযোগ, “২০২২ সালে রাজ্যে কুকুরের কামড়ের মোট ২৩ হাজার ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার।” মামলাকারীর দাবি, ২০২৩ সালে পশুদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে আইন আনা হয়েছিল, তা কার্যকর করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। বন্ধ্যাত্বকরণ বা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ নিয়মিতভাবে হচ্ছে না।

একইসঙ্গে আদালতে উঠে আসে দিল্লির ঘটনার প্রসঙ্গও। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) দিল্লির রাস্তায় কুকুরদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যা ঘিরে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ থেকে ওই মামলা সরিয়ে তিন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার নতুন বেঞ্চ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

Calcutta High Court seeks report on stray dog sterilisation progress

আরও পড়ুনঃ কমিশনের নির্দেশ অমান্য? ২১ অগাস্টের পরও চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিল না রাজ্য

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এখন নজর রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের দিকে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভার রিপোর্ট আদালতে জমা পড়লে স্পষ্ট হবে পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে রাজ্য প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ কতটা এগিয়েছে।