বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নদিয়ার কালীগঞ্জে দশ বছরের তামান্নার মৃত্যু নিয়ে ফের নড়েচড়ে বসল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই মামলার তদন্ত নিয়ে আদালত একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। এদিন পুলিশের তদন্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নতুন তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কিভাবে হয়েছিল তামান্নার মৃত্যু?
ঘটনাটি ঘটে জুন মাসে। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করেছিলেন কালীগঞ্জে। সেই মিছিলে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমার আঘাত লাগে বছর দশেকের তামান্নার শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তামান্নার। শোকস্তব্ধ পরিবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে।
চার্জশিটে বাদ পড়ল ১৪ জনের নাম
তামান্নার পরিবারের অভিযোগে মোট ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও, পুলিশের চার্জশিটে জায়গা পায় মাত্র ১০ জনের নাম। ইতিমধ্যেই এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে নাকি পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এই যুক্তি দেখিয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয় চার্জশিট থেকে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নিহতের পরিবার। অভিযোগ ওঠে, তদন্তে গাফিলতি করছে পুলিশ।
হাই কোর্টের (Calcutta High Court) কড়া নির্দেশ
বৃহস্পতিবার আদালত কার্যত পুলিশের সেই যুক্তি মানতে নারাজ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, অধরা ১৪ জনকে দ্রুত পাকড়াও করতে হবে। পাশাপাশি নিহত তামান্নার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জেলা আদালতকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানায়, “তদন্তের ধরণে আমরা সন্তুষ্ট নই।”
আরও পড়ুনঃ ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে অভিষেকের উপহার, কী কী থাকছে উপহারের ঝুলিতে?
আদালতের (Calcutta High Court) এই নির্দেশে স্পষ্ট যে, তামান্না খুন মামলায় শিথিলতা বরদাস্ত করবে না বিচারব্যবস্থা। আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নতুন রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি পরিবার যাতে আরও সুরক্ষিত থাকে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে প্রশাসনকে।