বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত দামামা (Panchayat Vote Violence)! সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় থেকে উত্তপ্ত বাংলা। মারামারি, হানাহানি, হিংসা-অশান্তি, কোনোটাই বাদ নেই। এই পরিস্থিতিতে অশান্তি এবং পুননির্বাচনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি নতুন জনস্বার্থ মামলা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এবং ফরহাদ মল্লিক। আজ বুধবার শুভেন্দু করা মামলার শুনানিতে কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের (Calcutta High Court)।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া পর্যাপ্ত নয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। এদিন এই মামলার শুনানিতে কমিশনের কোনও অফিসার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ অশান্তি মামলায় একের পর এক মন্তব্য করেন।
এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাবে জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অসহযোগিতার বিষয়টি কোর্ট বিশেষভাবে খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি কমিশনকে পুনর্নিবাচনের বিষয়টিও দেখতে হবে। যে বুথগুলির প্রসঙ্গ মামলায় এসেছে সেগুলি দেখতে হবে। সমস্ত ঘটনার দায়িত্ব কমিশনকেই নিতে হবে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘পুনরায় নির্বাচনের জন্য কমিশনের কাছে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কী সিদ্ধান্ত তা জানানো প্রয়োজন ছিল। খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, কোনও ভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেটা উদ্বেগের। মামলার ভবিষ্যতের উপর জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ভর করবে, এটা মনে রাখতে হবে, পর্যবেক্ষণ আদালতের।’
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি কমিশনকে সংগ্রহ করতে হবে। নির্দেশ আদালতের। ব্যালট, সিসিটিভি ফুটেজ সহ সব তথ্য সংরক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ২০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানা যাচ্ছে।