যোগ্যদের নিয়োগ আটকে রাখা যাবে না! কোন জেলায় কত পদ খালি? জানতে চাইল হাই কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের পর বছর ধরে চলছে মামলা। আর সেই কারণে আটকে আছে নিয়োগ। এদিকে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের। এবার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ২০১৪ টেট পরীক্ষার উর্দু প্রশ্ন ভুলের মামলা উঠেছিল কলকাতা হাই কোর্টে।

সেই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলেন। কোন জেলায় কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে, সেই সঙ্গেই বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষকের সংখ্যা কত তা জানানোর নির্দেশ দেন তিনি।

হাই কোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ, এই তালিকায় কোনও সুপার নিউমেরারি পোস্টের হিসেব দেওয়া হবে না। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ মামলা চলায় চাকরিপ্রার্থীদের (TET Recruitment) যে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে, তাঁদের নিয়োগ যেভাবে আটকে রয়েছে তাতে আদালত একেবারেই খুশি নয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বোর্ডের তরফ থেকে উক্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এই বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে রিসার্চ করব’! ভোটের পর কীসের গবেষণার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

এদিন প্রাথমিকের ২০১৪ টেটের প্রশ্ন ভুলের মামলার শুনানির সময় জাস্টিস মান্থার পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চলে যাচ্ছে। যে কারণে ভুগতে হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হচ্ছে না, অথচ তাঁদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। পর্ষদের অসহযোগিতার কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে বলে অনুমান আদালতের।

calcutta high court on ssc recruitment scam

এদিকে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে নিয়োগ প্রসঙ্গে সদর্থক বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হবে , তবে বাম-রামেদের আদালতে মামলা করে আটকে রেখেছে’। প্রায় ৬০-৭০ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আদালতের মামলার জটিলতার কারণে আটকে আছে বলে জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সঙ্গেও বলেন জটিলতা মিটিয়ে নিয়োগ শুরুর কথা। এবার আদালতের তরফ থেকে এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর