বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় বেআইনি নির্মাণ রুখতে এবার আরও কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। অবৈধ ফ্ল্যাট ও বাড়ির বিরুদ্ধে সরাসরি ভাঙার পথে না গিয়ে নতুন একটি পদ্ধতি নিতে নির্দেশ দিল আদালত।
কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?
সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পূর্ব কলকাতা ওয়েটল্যান্ডস ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ইকেডব্লিউএমএ-কে নির্দেশ দিয়েছে, জলাভূমি এলাকায় যেখানে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, সেই সব প্লটের পূর্ণ তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এর পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে, ওই তালিকাভুক্ত দাগ নম্বর বা প্লটে গড়ে ওঠা যে কোনও নির্মাণ বেআইনি এবং তা ভাঙার যোগ্য।
জলাভূমি এলাকার জমি বা সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে করা নির্দেশ হাই কোর্টের (Calcutta High Court)
শুধু তাই নয়, হাইভিকোর্ট (Calcutta High Court) ‘রেজিস্ট্রার অফ অ্যাশিওর্যান্স’ এবং অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় থাকা কোনও জমি বা সম্পত্তি আর রেজিস্ট্রি করা যাবে না।
এদিন মামলার শুনানিতে ওয়েটল্যান্ডস ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং রাজ্য সরকারের তরফে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, আইন ও নিয়মকানুন উপেক্ষা করেই জলাভূমি এলাকায় ব্যাপকভাবে অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। বাস্তবে তেমন কোনও ফলপ্রসূ কাজ হচ্ছে না বলেও আদালত (Calcutta High Court) জানায়।
সম্প্রতি কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক এলাকায় জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণের অভিযোগ সামনে এসেছে। বাঘাযতীন এলাকার একটি নবনির্মিত ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনার পর তদন্তে জানা যায়, সেখানে পুকুর বুজিয়ে ফ্ল্যাট বানানো হচ্ছিল। অভিযোগ, কোনও রকম পুরসভার অনুমতি ছাড়াই পরে ওই ফ্ল্যাটে ‘আপ লিফ্টিং’-এর কাজ চলছিল। সেই কাজ চলাকালীনই চারতলা ফ্ল্যাট হেলে পড়ে পাশের বাড়ির উপর, যার ফলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুনঃ ফ্ল্যাট, গাড়ি, জমি, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সম্পত্তির পরিমাণ কত? জানুন
এই ধরনের একাধিক ঘটনার পরেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় এবার কড়া পথে হাঁটল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বেআইনি নির্মাণ হওয়া সব প্লটের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে জলাভূমি দখলের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিল আদালত।












