বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার কারণে ইতিমধ্যে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। আমাদের দেশেও ইতিমধ্যে 600 এর বেশি সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। w.h.o. জানিয়েছে করোনা ঠেকাতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ২১ দিনের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুলি যতদূর সম্ভব কর্মীদের work-from-home এর সুবিধা দিয়েছে।
কিন্তু সকল কাজ বাড়ি থেকে সম্ভব নয়। বিভিন্ন জরুরী পরিষেবার মত কিছু কিছু কাজ কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারা ছাড়া অসম্ভব। তেমনই একটি কাজ কল সেন্টার। ভারতের কল সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি ভারতের অন্যতম সবথেকে বেশি মানুষকে চাকরি দিয়ে থাকে। লকডাউন ঘোষণার পর এই সংস্থা গুলো কার্যত বিশবাঁও জলে। অতিরিক্ত খরচ করে বা কর্মচারীদের অফিসের কাছাকাছি রেখে কাজ চালানোর চেষ্টা করা হলেও work-from-home এর কোন সুবিধা এই মুহূর্তে নেই। কারণ এই কাজ বাড়িতে বসে সম্ভব নয় বলেই মত সংস্থাগুলোর।
করোনার মতো রোগ যেখানে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলা বাঁচার সবথেকে বড় উপায়, সেখানে এই মুহূর্তে কল সেন্টার গুলোতে কাজ করছে কয়েক লাখ কর্মচারী। একটি ছোট ঘরে প্রায় শ’খানেক কর্মচারী কল সেন্টার গুলিতে সাধারন ভাবে কাজ করে। work-from-home চালু করার ক্ষেত্রে যে প্রচুর পরিমাণ সামগ্রী প্রয়োজন তা দিতে অক্ষম সংস্থাগুলি। কিছু কর্মীদের work-from-home দেওয়া হলেও সম্পূর্ণ সংস্থাটিকে এভাবে চালানো অসম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, লকডাউন পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে। Nasscom-এর পক্ষ থেকেও এসেনশিয়াল সার্ভিস জরুরি পরিষেবার আওতায় তথ্যপ্রযুক্তিকে রাখা হয়েছে। তাই কল সেন্টারগুলিতে work-from-home এর সুবিধা কতদূর দেওয়া সম্ভব তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।