বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার চিনের (China) বিরোধ শুরু হলো কানাডার (Canada) সঙ্গে। গত রবিবার কানাডা তার বহু প্রতীক্ষিত ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Indo – Pacific Strategy) নীতি প্রণয়ন করল। এই নীতিতে চিনকে আন্তর্জাতিক স্তরের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই নীতিতে আরও বলা হয়েছে, চিন বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি করে, তার বদলে তাদের উচিত জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব স্বাস্থ্য, জীব বৈচিত্র্য বিষয়ে সকলকে সহযোগিতা করা উচিত।
এই নীতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পরিস্কার ঘোষণা করেন, ভারত – প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা দিয়ে তারা আরও বেশি বাণিজ্য করবে। কানাডার এই ভারত প্রশান্ত নীতিতে বলা হয়, ‘চিন একটি দ্রুত উন্নয়নশীল আন্তর্জাতিক ক্ষমতা সম্পন্ন দেশ। বেজিং চায় সারা বিশ্বে নিজের আধিপত্য। এই নীতির সঙ্গে আমাদের বিস্তর ফারাক।’
শুধু তাই নয়, কানাডা ১.৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে ভারত – প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় নিজেদের সেনা মোতায়েন এবং সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখতে। এই নীতির মূল উদ্দেশ্যই হল চিনের আগ্রাসনকে প্রতিহত করা। এমনই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়া কানাডা নিজেদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিকে সুরক্ষিত করতেও সাহায্য নেবে এই নীতির।
কানাডার নব ঘোষিত এই নীতিতে বারবারই চিনকে একটি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে দেখানো হয়েছে। এবং এই বিষয়টিকে কানাডা কখনওই এড়িয়ে যেতে চায়না বলেই এই নীতিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এটাও উল্লেখ করা হয়েছে, নিজের স্বার্থের জন্য যেকোনও নিয়ম ভাঙতে পিছপা হয় না। ২৬ পাতার এই নীতিতে একাধিক বার চিনের আন্তর্জাতিক নীতিকে সমালোচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জি২০ সামিটের মঞ্চেই জিন পিং এবং জাস্টিন ট্রুডোকে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তাই দুই দেশের সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয় তা পরিস্কার বোঝা যায়।