মাত্র দু’টাকায় ক্যানসার মুক্তি, কলকাতার তরুণকে বাঁচিয়ে নজির গড়ল NRS মেডিক্যাল কলেজ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুরারোগ্য এক মারণ ব্যাধির নাম ক্যান্সার, যা কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের জীবন , আবার বহু ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের জীবন হয়ে গেছে মর্মান্তিক, দুর্বিষহ। কিন্তু এই আতঙ্ক থেকেই মুক্তির পথ বের করলো কলকাতারই এক সরকারি হাসপাতাল। কলকাতার হাসপাতাল থেকে মাত্র আড়াই মাসে চিরতরে ক্যান্সার মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরল যুবক। ব্যয় হয়েছে মাত্র দু’টাকা! কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ( NRS) এই জাদুকরী কর্মকাণ্ডে খুশি ছড়িয়েছে চিকিৎসাজগৎ জুড়ে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদেরও মুখে ফুটেছে হাসির রেখা।

মাত্র আড়াই মাসে সম্পূর্ন ভাবে ক্যান্সার থেকে মুক্তিদান করতে সক্ষম হয়েছে এন. আর .এস হাসপাতালের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট।কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের হিমাটোলজি বিভাগ কিছুদিন আগে অনুমোদন পেয়েছে ক্যান্সার চিকিৎসায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করে শুধুমাত্র ক্যান্সার নয় , হিমোফিলিয়া থ্যালাসেমিয়া প্রভৃতি মারন রোগের চিকিৎসা সম্ভব।

ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে এই হাসপাতালে তৈরি হয়েছে এথিক্স কমিটি। ইতিমধ্যে কলকাতায় চিকিৎসা করতে আসেন ঝাড়খণ্ডের এক যুবক , যিনি ছিলেন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। মাত্র দু টাকার টিকিট কেটে কলকাতার NRS হাসপাতালে হিমাটলজি বিভাগে ভর্তি হতে যান তিনি । তার অবস্থা বুঝে এরপরেই ভর্তি নেওয়া হয় তাকে। অবিলম্বে শুরু করে দেওয়া হয় চিকিৎসা।

এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর পীতবরণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন , ” সরকারী হাসপাতালের এই সীমিত ব্যবস্থাতেও একজন ক্যান্সার রোগীকে সম্পূর্ন সুস্থ করে তোলা হয়েছে ।” জানা গেছে , রোগীর দেহে বোন ম্যারো অর্থাৎ অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তারই ভাইয়ের শরীর থেকে অস্থিমজ্জা নিয়ে । কিন্তু এখানেও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এগোতে হয়েছে চিকিৎসক দের । প্রতিস্থাপনের আগে মিলিয়ে নিতে হয়েছে দুজনের গ্রুপ । অধ্যাপক তুফানকান্তি দলুই জানিয়েছেন , ” এই চিকিৎসা কলকাতায় এই প্রথম , আগে এর ব্যবস্থাও ছিলো না । এবার থেকে ক্যানসার রোগীদের আর চিন্তা থাকবেনা , থাকবেনা মৃত্যুভয়।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর