বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের আকাশে নারী শক্তির জয়গান। সৃষ্টি হল ইতিহাস। প্রথমবারের জন্য সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন কোরে কোনও মহিলা পাইলটকে নির্বাচন করা হল ভারতে। ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাককে একজন যুদ্ধ পাইলট হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নির্বাচিত করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন অভিলাষা রুদ্র এবং এলসিএইচ-এর মতো আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলি ওড়াতে দক্ষ।
কিছু দিন আগেই ৮মে সাড়ম্বরে পালিত হল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ২০২২ এর নারী দিবসের থিম ছিল ‘আগামী সোনার ভবিষ্যৎের জন্য আজ দরকার লিঙ্গ সমতা।’ এই থিমকেই যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমান করলো ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাঁদের মতে, এভিয়েশন কর্পসের ইতিহাসে এটি একটি সোনার দিন কারণ এই প্রথমবারের জন্য কোনও মহিলা অফিসারকে যুদ্ধ-বিমানচালক হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
বুধবার নাসিকের কমব্যাট আর্মি এভিয়েশন ট্রেনিং স্কুলের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক-সহ মোট ৩৬ জন সেনা পাইলটকে ‘উইংস’ দেওয়া হয়। এভিয়েশন কর্পসের ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার সুরি ক্যাপ্টেন অভিলাষা সহ সমস্ত পাইলটকে এই উইংস প্রদান করেন। এই উইংস পাওয়ার পর থেকেই, এই সমস্ত পাইলটরা সেনাবাহিনীর রুদ্র এবং লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার অর্থাৎ এলসিএইচ উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত হলেন।
ভরতীয় সেনাবাহিনীর এভিয়েশন কর্পস ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এভিয়েশন কর্পসের হেলিকপ্টারারদের দায়িত্ব হল সেনাবাহিনীর শেষ ফাঁড়িতে নিযুক্ত সৈন্যদের কাছে খাবার, অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা। এগুলি সাধারণত এমন আউটপোস্ট হয় যা সড়ক পথে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। বিশেষ করে সিয়াচেন হিমবাহ, নিয়ন্ত্রণরেখা, পূর্ব লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে এমন অনেক সেনা চৌকি রয়েছে যেখানে সড়কপথে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। সেখানে শুধুমাত্র এভিয়েশন কর্পসের হেলিকপ্টারই চলাচল করতে পারে।
ক্যাপ্টেন অভিলাষা হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা। তার বাবাও সেনাবাহিনীতে কর্নেল হিসাবে কাজ করেছেন। ক্যাপ্টেন অভিলাষা ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স কর্পসে যোগ দিয়েছিলেন এবং এরই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পেশাদার সামরিক কোর্সও করেছেন। তিনি তার অন্যান্য পাইলট সহকর্মীদের মতো ছয় মাসের একটি কোর্স করেছেন যুদ্ধ বিমানচালক হওয়ার জন্য। আর তার পরেই এই বিরাট সাফল্য।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট