বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান রাজনীতিতে বিতর্ক এবং অনুব্রত মণ্ডল যেন একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হয়ে দাঁড়িয়েছে! বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল যখনই কোনো এক বিতর্ক থেকে সাময়িক স্বস্তি পাচ্ছেন, ঠিক পরমুহূর্তেই আবার তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে অপর এক মামলা। এদিন ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল বাতি লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হলো। আগামী সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি, একাধিকবার সিবিআই দ্বারা হাজিরার নির্দেশ পান অনুব্রত মণ্ডল। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রত্যেকবারই তলবের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি। তবে ক্রমশ যে তাঁর ওপর চাপ আরও বেড়ে চলেছে, তা বলা বাহুল্য। কিছুদিন পূর্বেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বীরভূম জেলা সভাপতি। অন্ডকোষের সমস্যা সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে একেই জেরবার রয়েছেন তিনি, তার উপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও শারীরিক অসুস্থতার ওপর ভর করে পুনরায় একবার সিবিআই তলবের হাত থেকে বাঁচেন অনুব্রত, কিন্তু তাঁর সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হলো না।
এদিন হাইকোর্টে অনুব্রতর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলো আইনজীবী তথা বিজেপি যুবনেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। একজন জেলা সভাপতি হয়ে কিভাবে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করতে পারেন অনুব্রত, এনিয়ে এদিন হাইকোর্টে প্রশ্ন তোলেন তরুণজ্যোতি এবং আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তের মুখে কিছু সপ্তাহ পূর্বেই বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং সেই সময় যে গাড়িতে করে তিনি কলকাতায় পৌঁছান, তাতে লাল বাতির দেখা মেলে। এরপর বাড়ি থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেও তিনি লাল বাতি লাগানো অপর একটি গাড়িতে করে রওনা দেন। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যেখানে বিধায়ক থেকে সাংসদ, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে পর্যন্ত লাল বাতি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না, সেখানে একজন জেলা সভাপতি হয়ে কিভাবে সেই আইন লঙ্ঘন করে চলেছে অনুব্রত!
আইন অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িতে নীল বাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে অনুব্রত মণ্ডল কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করে চলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন মাঝেই হাইকোর্টে দায়ের করার জনস্বার্থ মামলা তাঁকে আরো চাপে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।