বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক ডঃ শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন দুই জনপ্রতিনিধি। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন সাংসদ খগেন মুর্মু। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার রেশ এবার পৌঁছালো কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।
এনআইএ তদন্তের আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস এই মামলা দায়ের করেছেন। তিনি NIA তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। আদালত বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে জলপাইগুড়ি পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন গোবিন্দ শর্মা, একরামুল হক, সহিদুল হক ও ফজলুল করিম। বুধবার ২ জন ও বৃহস্পতিবার আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে এই চারজনের।
ঘটনার পরপরই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে বসে আছেন সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে গিয়েছে, ভেঙে গিয়েছে গাড়ির কাচ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা পিছন দিক থেকে এসে হামলা চালায় যখন তাঁরা এলাকা থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল তরজা। বিজেপির অভিযোগ, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে হামলাকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ OBC মামলার শুনানি শুরু, আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেছেন খগেন মুর্মুর সঙ্গে। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে সাংসদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বুধবারই তিনি উঠে বসেছেন, তবে চিকিৎসকরা এখনও তাঁকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।